ইসকনসহ পুরানো হিন্দু সংগঠন অর্ধশতাধিক, ৫ মাসে নতুন সংগঠন আরো ১৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩৮ পিএম, ৬ জানুয়ারী,সোমবার,২০২৫ | আপডেট: ০৮:৩৩ পিএম, ৭ জানুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২৫
বাংলাদেশে ৫০টির বেশি পুরানো হিন্দু সংগঠন রয়েছে। নতুন করে গত ৫ মাসে আরো ১৩টি সংগঠন তৈরি করা হয়েছে। এসব সংগঠনের মধ্যে আলোচিত হিন্দু সংগঠনের নাম ইসকন। তাদের হামলায় গতমাসে চট্টগ্রামে একজন আইনজীবী মারা গেছেন।
হিন্দুদের উদ্যোগে গত পাঁচ মাসে কখনো এককভাবে, কখনো যৌথভাবে বেশ বড় জমায়েত করা হয়েছে চট্টগ্রাম, রংপুর ও ঢাকায়, যা দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
সংখ্যালঘু নামে হিন্দুদের হঠাৎ করে এত সংগঠন তৈরি করার নেপথ্যে কারা, তা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছে।
হিন্দু নেতারা বলছেন, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পরবর্তী সময় থেকেই বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায় জটিল পরিস্থিতিতে আছে। কিন্তু সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এবারের মতো এত বড় আন্দোলন আর হয়নি। এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছে নতুন প্ল্যাটফর্মগুলো। এবার যে মাত্রায় আন্দোলন গড়ে তোলা হয়েছে, তা বিগত কয়েক দশকে দেখা যায়নি।
নতুন যেসব প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়েছে, এর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট। এই জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। মূলত তাঁর ডাকে গত অক্টোবর ও নভেম্বরে চট্টগ্রামে এবং রংপুরে বিশাল দুটি সমাবেশ করা হয়, যা দেশের বাইরেও আলোচনার জন্ম দেয়। চিন্ময় কৃষ্ণ একসময় ইসকন (আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ) বাংলাদেশের সঙ্গে ছিলেন। রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেপ্তারের পর তাঁকে গত ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হলে পুলিশের সঙ্গে তাঁর অনুসারীদের সংঘর্ষ হয়। ওই সময় চট্টগ্রামের আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট ছাড়াও সংখ্যালঘুদের আরেকটি নতুন প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চেরও মুখপাত্র। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এই দুটি প্ল্যাটফর্মের জন্ম হয়। কাছাকাছি সময়ে আত্মপ্রকাশ করা অন্য প্ল্যাটফর্মগুলো হলো বাংলাদেশ সচেতন সনাতনী নাগরিক, বাংলাদেশ সনাতনী সচেতন ছাত্রসমাজ, সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলন, সনাতনী অধিকার আন্দোলন, বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোট, সনাতন অধিকার মঞ্চ, সনাতনী ছাত্রসমাজ, বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র-জনতা, বাংলাদেশ হিন্দু জাগরণ মঞ্চ, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমাজ সুরক্ষা কমিটি এবং সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এসব প্ল্যাটফর্ম ও সংগঠনের একটি বৈশিষ্ট্য হলো, নেতৃত্বে রয়েছেন মূলত সাধু-সন্ন্যাসী (মন্দির-মঠের পুরোহিত) ও শিক্ষার্থীরা।