যথাযোগ্য মর্যাদায় দেশব্যাপী পালিত হলো জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস (২)
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০৮ পিএম, ৭ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪ | আপডেট: ০৫:৫৭ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
আজ ৭ নভেম্বর. ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস। ১৯৭৫ সালের আজকের দিনে দেশপ্রেমিক সিপাহি-জনতা এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়ারউর রহমানকে জেল থেকে মুক্ত করে আনেন। একনায়কতন্ত্র ও বাকশালের হাত থেকে মুক্ত হয়ে জিয়াউর রহমানের হাত ধরে দেশ গণতন্ত্রের দিকে যাত্রা শুরু করে এই দিনেই। সেই থেকে দিবসটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে আসছে দেশের মানুষ। আবার ফ্যাসিবাদ জেকে বসলে দিবসটি পালনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে আওয়ামী সরকার। ফ্যাসিবাদ মুক্ত পরিবেশে এ বছর ঢাকাসহ সারাদেশে দিবসটি বর্নাঢ্য আয়োজনে পালিত হয়েছে। বিশেষ করে শহীদ জিয়ার হাতে গড়া সংগঠন বিএনপির নেতাকর্মীরা র্যালি, সভা-সেমিনার করে দিবসটিকে বরণ করে নিয়েছেন।
রাজশাহী জেলা ও মহানগর বিএনপির ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন :
যথাযোগ্য মর্যাদায় ও দলীয় ভাব গাম্ভীর্যে রাজশাহীতে ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর বিপ্লব ও গণ সংহতি দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচী ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে, রাজশাহীর জেলা ও মহানগর বিএনপির কার্যালয় ভ’বন মোহন পার্কের সামনে বৃহস্পতিবার সকালে বিএনপি দিনটি উদযাপন উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করেন । দিনটি উপলক্ষে সকালে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় পরে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্প মাল্য অর্পণ করা হয় এছাড়াও বাংরাদেশের গণতনস্ত্র উদ্ধারে শাহাদাৎ বরণকারী সকল শহীদদের রুহের আত্নার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হয় ।দিবসটি উপলক্ষে বিকেলে জাতীয় পতাকা ও দলীয়পতাকা হাতে নিয়ে বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠণের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি র্যালি বের করেন র্যালিটি শহরের বিভিন্ন রাস্তা পদক্ষিণ করে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। এ সময় রাজশাহী মহানগর বিএনপি'র আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী এশা,সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা, যুগ্ন-আহ্বায়ক বজলুল হক মন্টু সহ মহানগর ও জেলা বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাককর্মীরা উপস্থিত ছিলেন এছাড়াও প্রতিটি ওয়ার্ড বিএনপি পৃথক পৃথকভাবে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক বিপ্লব সংহতি দিবস পালন করেছেন এ উপলক্ষে রাজশাহী মহানগরের প্রতিটি ওয়ার্ডে দলীয় নেতাকর্মীরা মাইক্রোফোনযোগে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ভাষণ ও দেশাত্মবোধক গান প্রচার করেন এবং সেই সাথে জেলা ও মহানগর বিএনপির উদ্যেগে বিকেলে র্যালির ও আয়োজন করা হয় ।
দিনাজপুরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপির র্যালি ও আলোচনা সভা :
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে দিনাজপুর জেলা বিএনপি বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল
দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন, বর্ণাঢ্য র্যালি, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি। বিকেল ৪টায় দিনাজপুর ইনস্টিটিউট মাঠ প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ মোকাররম হোসেনের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার আহমেদ কচি'র সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি আলহাজ্ব আখতারুজ্জামান মিঞা, কেন্দ্রীয় কমিটির আরেক সদস্য বীর মুক্তিযদ্ধা মোঃ মকশেদ আলী মঙ্গলিয়া। বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক বিশেষ সহকারি এম এ জলিল, জেলা বিএনপি'র সহ-সভাপতি খালেকুজ্জামান বাবু, আলহাজ্ব মাহবুব আহমেদ, আলহাজ্ব সোলায়মান মোল্লা, সহ-সভাপতি মােজাহারুল ইসলাম, সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ আবু বকর সিদ্দিক, যুগ্ম সম্পাদক শাহিন সুলতানা বিউটি, জেলা তাঁতীদলের আহবায়ক মোঃ রেজাউল ইসলাম প্রমখ। এর আগে বিকেল ৩টায় দিনাজপুর ইনস্টিটিউট মাঠ হতে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় ইনস্টিটিউট মাঠে এসে শেষ হয়। র্যালিতে জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ মোকাররাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার আহমেদ কচি, সহ-সভাপতি খালেকুজ্জামান বাবু, আলহাজ্ব মাহবুব আহমেদ, আলহাজ সোলায়মান মোল্লা, আলহাজ্ব মোঃ আবু বকর সিদ্দিক, মােজাহারুল ইসলাম, আলহাজ্ব হাফিজুর রহমান সরকার, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুরাদ আহমেদ, দিনাজপুর পৌর বিএনপির সভাপতি মোঃ জিয়াউর রহমান জিয়াসহ জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদকবৃন্দ সাংগঠনিক সম্পাদকবৃন্দ, জেলা বিএনপির নির্বাহী কমিটির অন্যান্য সদস্য, দিনাজপুর পৌর বিএনপি, সদর উপজেলা বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, কৃষকদল, শ্রমিকদল, তাঁতীদল, মৎস্যজীবী দল, মহিলাদল, জাসাস, জেলার বিভিন্ন উপজেলা হতে আগত বিএনপি'র বিভিন্ন অঙ্গসহযোগি সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। সন্ধ্যা ৬টায় ইনস্টিটিউট মাঠে জেলা জাসাসের আয়োজনে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।
ঝালকাঠিতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন :
যথাযোগ্য মর্যাদায় ও আনন্দ উদ্দীপনায় ঝালকাঠিতে পালিত হলো জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ হোসেন'র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম জামাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঝালকাঠি-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইসরাত সুলতানা বলেন ভূট্রো,জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোস্তফা কামাল মন্টু,সরদার এনামুল হকের এলিন,নলছিটি উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আনিচুর রহমান খান হেলাল, নলছিটি পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র মো. মজিবর রহমান, যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা কামরুল ইসলাম সহ বিভিন্ন উপজেলার বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে রফিকুল ইসলাম জামাল বলেন,আওয়ামী লীগ ৭১ থেকে ৭৫ দেশের দুর্ভিক্ষ চালিয়ে ছিলো। ৭৫'র ১৫ আগষ্ট মোস্তাকের ষড়যন্ত্র পরে শেখ হাসিনা শুরু করে। এখন ভারতে গিয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সবসময় ষড়যন্ত্র করে। ৭৫'র নভেম্বরে খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর প্রধান জিয়াউর রহমানকে আটক করলে সিপাহি ও সাধারণ জনগণের বিপ্লবের ফলে জিয়াউর রহমান মুক্ত হন। মুক্তি পায় দেশের সার্বভৌমত্ব। আওয়ামী লীগ ১৫ বছর দেশে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করেছিলো। দেশকে ভারতের প্রদেশ বানিয়ে গোলাম করে রেখেছে আমাদের। ফেলানী হত্যা,হারুনের প্রসাদসম বাড়ি,সজিব ওয়াজেদ জয়ের গলফ ক্লাব সহ বাংলো,১৪ টি বাড়ি,হাজার কোটি টাকার পাচার,শেখ রেহানার নিয়ন্ত্রণে প্রকল্প সব মিলিয়ে দূর্ণীতির স্বর্গরাজ্য বানিয়ে রেখেছিলো আওয়ামী লীগ। ছাত্র জনতা সঠিক পদক্ষেপে হাসিনা মুক্ত হয় বাংলাদেশ। আগামীতে দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে দূর্ণীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়বো আমরা। আরো বক্তব্য রাখেন ঝালকাঠি -২ আসনের সাবেক এমপি ইসরাত সুলতানা বলেন ভূট্রো,জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শাহাদত হোসেন সহ নেতৃবৃন্দ।
গাইবান্ধায় বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত :
গাইবান্ধায় ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে গাইবান্ধা জেলা বিএনপির উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল দলীয় কার্যালয় চত্বরে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, আলোচনা সভা ও র্যালি। এর আগে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে শহীদ মিনার চত্বরে সমবেত হয়। স্থানীয় পৌর শহীদ মিনার চত্বর একটি র্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে বক্তব্য দেন বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির গ্রাম সরকার বিষয়ক সম্পাদক আনিসুজ্জামান খান বাবু, নির্বাহী সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সভাপতি ডাঃ অধ্যাপক মইনুল হাসান সাদিক, সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুন্নবী টিটুল প্রমুখ। বক্তারা শহীদ জিয়ার শততা, দেশপ্রেম ও আদর্শে বলিয়ান হয়ে সকলকে একসাথে কাজ করার আহবান জানান। সেইসাথে স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার বিচার দাবি করেন।
শরীয়তপুরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত :
৭ ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে শরীয়তপুর জেলা বিএনপি'র উদ্যোগে জেলা শহরে র্যালি ও পরবর্তীতে শরীয়তপুর পৌরসভা অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শফিকুর রহমান কিরণের সভাপতিত্বে এবং শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার একেএম নাসির উদ্দীন কালুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বগুড়ায় বিএনপির বর্নাঢ্য র্যালী :
বিপ্লব ও সংহতি দিবসকে জাতীয় দিবস ও সরকারি ছুটি ঘোষনার দাবি। কোনপ্রকার বাধা ছাড়া ছাড়াই ১৬ বছর পর নানা আয়োজনে বগুড়ায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বিএনপির বর্নাঢ্য র্যালী। কোন প্রকার বাধা ছাড়াই দীর্ঘ ১৬ বছর পর বগুড়ায় ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের র্যালী করেছে জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠন। দিবসটি দৃষ্টিনন্দন করতে র্যালিতে স্থান পেয়েছিল সাঁজোয়া যান, হাতি, ঘোড়ারগাড়ি ও পালকি। বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে একটায় ঐতিহাসিক আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠ থেকে শুরু হয়ে র্যালিটি জলেশ্বরীতলা, শেরপুর রোড, সাতমাথা, থানার মোড়, বড়গোলা, ফতেহ্ আলী বাজার হয়ে নবাববাড়ি সড়কস্থ দলীয় কার্যালয়ের পাশ্ববর্তী পুলিশ প্লাজায় শেষ হয়। এর আগে বেলা ১০টায় জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মিছিল নিয়ে আলতাফুন্নেছা মাঠে একত্রিত হয়। র্যালি পুর্ব এক সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা। সমাবেশে বিএনপি নেতৃবৃন্দ ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসকে জাতীয় দিবস ও সরকারি ছুটি ঘোষনার দাবি জানিয়ে বলেন, অতি দ্রুত নির্বাচনের রোড ম্যাপ ঘোষনা করতে হবে। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রিতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। তারা বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বাংলাদেশ থেকে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার উৎখাত হয়েছে, আর কোন স্বৈরশাসক বাংলাদেশ দখল করতে পারবেনা। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে। জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ উন নবী সালাম ও কেএম খায়রুল বাশারের পরিচালনায় সামাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সাবেক মেয়র এ্যাড. একেএম মাহবুবর রহমান, জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক ও সাবেক এমপি গোলাম মো: সিরাজ, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি মোশারফ হোসেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলী আজগর তালুকদার হেনা। এতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন চান, মাহবুবর রহমান হারেজ, জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক এ্যাড. সাইফুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আহসানুল তৈয়ব জাকির, এম আর ইসলাম স্বাধীন, মাফতুন আহমেদ খান রুবেল, এ্যাড, আব্দুল বাছেদ, যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল আলম মামুন, শেখ তাহাউদ্দিন নাহিন, মনিরুজ্জামান মনি, এনামুল হক নতুন, এনামুল হক শাহিন, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ মিটুল, জেলা কৃষক দলের আহবায়ক সাইফুল ইসলাম রনি, সদস্য সচিব এনামুল হক সুমন, জেলা মহিলা দলের সভাপতি আনজুমান আরা শাহজাদী, সাধারণ সম্পাদক নাজমা আক্তার, জেলা মৎস্যজীবি দলের আহবায়ক ময়নুল হক বকুল, জেলা যুবদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান, শহর যুবদলের সভাপতি আহসান হাবিব মমি, সাধারণ সম্পাদক আদিল শাহারিয়া গোর্কী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সরকার মুকুল, সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম শুভ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাহিদুল ইসলাম, সদও উপজেলা যুবদলের আহবায়ক শ্রী অতুল চন্দ্র দাস, যুগ্ম আহবায়ক শহর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জামিলুর রহমান শাওন, সদস্য সচিব হোসেন আলী, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাবিবুর রশিদ সন্ধান, সাধারণ সম্পাদক এম আর হাসান পলাশ।
নোয়াখালীতে ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে গনজমায়েত ও র্যালি :
নোয়াখালীতে ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে গনজমায়েত ও র্যালি পালিত হয়েছে। নোয়াখালী জেলা বিএনপির আয়োজনে জেলা শহর মাইজদীর শহীদ বুলু স্টেডিয়ামে এই গনজমায়েত অনুষ্ঠিত হয়। এসয় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুর রহমান, বেগমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামাখ্যা চন্দ্র দাস, নোয়াখালী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাফর উল্লাহ রাসেল সহ বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এরপর শহীদ বুলু স্টেডিয়াম থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক পদক্ষিন শেষে পৌর বাজার গিয়ে শেষ হয়।
চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের র্যালী ও শ্রদ্ধা নিবেদন :
চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি বলেছেন, সামনের বাংলাদেশ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ, মানবিক বাংলাদেশ গঠনের মাধ্যমে বাংলাদেশ সারা পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। আমরা জিয়াউর রহমানের সৈনিকেরা দেশ প্রেমে উদ্ভুদ্ধ হয়ে আজকে বিপ্লব ও সংহতি দিবসের চেতানাকে ধারণ করে ইনশাআল্লাহ আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির চট্টগ্রামে যে ঐতিহাসিক কর্মসূচি পালন হবে সকলকে যার যার আঙ্গিক থেকে তা পালন করার আহবান জানাচ্ছি। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে বাংলাদেশকে বৈষম্যহীন, শোষণ বঞ্চনামুক্ত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার সুবর্ণ সুযোগ এসেছে। সকলকে তা কাজে লাগানোর উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি। ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের উদ্যোগে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত নগরীর ষোলশহর ঐতিহাসিক বিপ্লব উদ্যানে শ্রদ্ধা নিবেদন ও র্যালীপূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ বলেন, দীর্ঘ স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের জাঁতাকল থেকে মুক্তি পেয়ে বাংলাদেশ যেন আবার নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। দীর্ঘদিন আমাদের দেশে সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার, আইনের শাসন, মৌলিক অধিকার-এসবের অস্তিত্ব যেন নিঃশেষিত হয়ে গিয়েছিল। দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে আরো একটি নতুন বাংলাদেশ গড়া প্রত্যয় ঘোষণা করছি। মানবিক বাংলাদেশ, সাম্যের বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। ইনশাআল্লাহ। এতে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি ইকবাল হোসেন, সাবেক সহ সভাপতি শাহেদ আকবর, এম এ রাজ্জাক, ফজলুল হক সুমন, আব্দুল করিম, আব্দুল গফুর বাবুল, মিয়া মো. হারুন, জসিমুল ইসলাম কিশোর, মুজিবুর রহমান অরূপ বড়ুয়া, মোহাম্মদ আলী সাকি, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, মো. সেলিম, ইকবাল পারভেজ, মো. এরশাদ হোসেন, আব্দুল হামিদ পিন্টু, সেলিম উদ্দিন রাসেল, তৌহিদুল ইসলাম রাসেল, গুলজার হোসেন, রাজন খান, ওমর ফারুক, সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান টিপু, সাইফুদ্দিন মো. মারুফ, জাফর আহমেদ খোকন, তানভীর মল্লিক, সাবেক সম্পাদক মন্ডলী'র সদস্য নুর হোসেন উজ্জ্বল, জিল্লুর রহমান জুয়েল, মুহাম্মাদ সাগির, গাজী ফারুক, মোহাম্মদ আলী, মহিউদ্দিন মুকুল, ইফতেখার শাহরিয়ার আজম, আসাদুজ্জামান রুবেল, সাবেক সহ সম্পাদক বৃন্দ আতিকুর রহমান আতিক, প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মানিকগঞ্জে বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত :
স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার ১৫ বছর বিএনপি এবং সাধারণ জনগণের উপর নির্যাতনের স্টিমরোলার চালিয়েছে- বলেছেন জিন্নাহ কবির। মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক এস.এ জিন্নাহ কবির বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক ও বহু দলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে গড়া বিএনপি ও সাধারণ জনগণের উপর স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছর নির্যাতনের স্টিমরোলার চালিয়েছে। সেই স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে পতন হয়েছে। লেজ গুটিয়ে পালিয়েছে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। দুপুরে ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন উপলক্ষে জেলা বিএনপি কর্তৃক আয়োজিত শোভাযাত্রাপূর্বক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জেলা বিএনপি'র সহ- সভাপতি এ্যাড আজাদ হোসেন খানের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপি'র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সত্যেন কান্ত পন্ডিত ভজন, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরতাজ আলম বাহার, রফিক উদ্দিন ভূইয়া হাবু, পৌর বিএনপির সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ যাদু, জেলা কৃষকদলের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া সাঈদ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম বাদল, সহ সভাপতি মাসুদুর রহমান মাসুদ, জেলা যুবদলের আহবায়ক কাজী মোস্তাক হোসেন দিপু, সদস্য সচিব তুহিনুর রহমান তুহিন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক এ্যাড জি এস জিন্নাহ খান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল খালেক শুভ, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুর রহমান সজিব, সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব খান অয়ন প্রমুখ। আলোচনা সভায় জিন্নাহ কবির আরো বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং ৯০ এর স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন ও ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর সিপাহী জনতার বিজয় হয়। এরপর আবার সেই স্বেরাচারী শেখ হাসিনা এদেশে বিনা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে বিএনপি এবং সাধারণ জনগণের উপর অমানবিক নির্যাতন এবং স্টিমরোলার চালিয়ে দেশ ও দেশের জনগনকে মহা সংকটে ফেলে পালিয়ে যায়।
ইসলামপুরে জাতিয় বিপ্লব সংহতি দিবস পালিত :
বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ এস এম আব্দুল হালিম বলেছেন, ১৯৭১ সালে ২৬শে মার্চ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে তার দৃশ্যপট ঘটে। সে সময় দেশে সরকার ছিল না। জিয়াউর রহমান যখন বন্ধী ছিলেন, তখন সিপাহি জনতা একত্রিত হয়ে জিয়াউর রহমানকে বন্ধী দশা থেকে বের করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা অধিষ্ঠিত করে। এটা পৃথিবীর ইতিহাসে আর কোথাও নেই। তাকে কোনো ব্যক্তি মুক্তি দেয়নি, জনগণ তাকে মুক্ত করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসিয়েছিল। তাই আজকে সেই ৭ই নভেম্বর তাকে সারা দেশ স্মরণ করছে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) জামালপুরের ইসলামপুরে ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত উপলক্ষে উপজেলা ও পৌর বিএনপি'র আয়োজনে ইসলামপুর অডিটরিয়ামে আলোচনা সভা ও র্যালীপূর্বক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। জেলা বিএনপি'র বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক পৌর বিএনপির সভাপতি জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ছিলেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নবী নেওয়াজ খান লোহানী বিপুল, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আওয়াল খান লোহানী।
উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় এতে উপজেলা বিএনপি'র সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকিউল ইসলাম তিব্বত, দপ্তর সম্পাদক হাতেম আলী সাদা, পৌর বিএনপি'র সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সরোয়ার আলম বিপুল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল আলম, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মিজানুর রহমান খান সোহাগ, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মনির খান লোহানী,সাখাওয়াত হোসেন সুজন প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। এতে উপজেলা,পৌর ও ইউনিয়ন বিএনপিসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী অংশ নেন।
পরে এক বন্যার্ঢ্য র্যালী বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে অডিটরিয়ামে গিয়ে শেষ হয়।
সীতাকুণ্ডে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত :
ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে সীতাকুণ্ড উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় পৌরসভার মুনষ্টার কমিনিউটি সেন্টারে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মোঃ সালাউদ্দিন ।সভাপতিত্ব করেন ডা. কমল কদর ,অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কাজী মহিউদ্দিন। উক্ত আলোচনা সভা বক্তব্য রাখেন দিদারুল ইসলাম মাহমুদ চৌধুরী, জয়নাল আবেদীন দুলাল,ইউছুপ নিজামী, জহরুল আলম জহুর, জাকির হোসেন,ছালে আহমেদ চলু, কাজী এনামুল বারী, আইনুল কামাল, জাফর ভূয়া, আলাউদ্দিন মাসুম, আকবর হোসেন, সারোয়ার কামাল, আবুল কালাম আজাদ, শাখায়াত রাসেল,সালামত উল্লাহ, ইদ্রিস মিয়া, নুরুউদ্দিন জাহাঙ্গীর, নাজমুদ দৌলা, আনোয়ার চেয়ারম্যান, খোরশেদ আলম, মহিউদ্দিন, জাহেদ হোসেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, যুব দল, ছাত্র দল, শ্রমিক দলের উপজেলা ও ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কলারোয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন :
কলারোয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন করা হয়েছে। ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে র্যালি ও আলোচনা সভা করেছে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। বেলা ১১ টায় উপজেলা মোড়স্থ বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয় সাবেক এমপি হাবিবের বাসভবন চত্বরে সামনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বিএনপির নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফ হোসেনের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রইচ উদ্দিন। সভাশেষে কেন্দ্রীয় বিএনপি'র প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব অসুস্থ হওয়ায় সুস্থতার জন্য বিশেষ দোয়া ও অপরদিকে বুধবার রাতে উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুর রশিদ মিয়ার সহধর্মিণী ইন্তেকাল করায় শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে জান্নাত কামনায় দোয়া করা হয়। দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সরকারি পাইলট হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব শেখ তামিম আজাদ মেরিন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রকিব মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক অধ্যক্ষ আবু বক্কার সিদ্দিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুল কাদের বাচ্চু, পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাজী কামরুল হোসেন, পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি মোস্তফা আখলাকুর রহমান শেলী, মহিলা দলের রাশিদা আশরাফ, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক এমএ হাকিম সবুজ, সদস্য সচিব প্রেসক্লাবের আহবায়ক তাওফিকুর রহমান সঞ্জু, যুগ্ম আহবায়ক প্রভাষক সালাউদ্দিন পারভেজ, পৌর যুবদল আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ, সদস্য সচিব মোজাফফর, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ, যুবদল নেতা বি এম পলাশ, আবু জাফর, সাবেক ছাত্রদল নেতা খালিদ মঞ্জুর রোমেল, আরিফুর রহমান রঞ্জু, এসএম আরিফুল আনম রিপন, রাজু প্রমুখ। এসময় বিএনপি নেতা ইয়াছিন আলি, শওকত হোসেন, যুবদল নেতা খোকন, সহিদুল ইসলাম, আলতাফ হোসেন, রিংকু, কৃষক দল নেতা মোতাহার হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোশারফ হোসেন, চঞ্চল, প্রভাষক আব্দুস সালাম দিলু, মুছা কারিম, ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহ্জালাল আহমেদ সাজু, আবির, আলি হাসানসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপি এবং সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে সভাস্থল থেকে র্যালি বের হয়ে কলারোয়া বাজারের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সাবেক এমপি হাবিবের বাসভবনের গেটের সামনে এসে শেষ হয়।
উলিপুরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত :
কুড়িগ্রামের উলিপুরে উপজেলা বিএনপির আয়োজনে ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকালে দিবসটি উপলক্ষে দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, শহীদ জিয়ার প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পন করা হয়। এরপর পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়কে বনাঢ্য র্যালী শেষে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা বিএনপির সভাপতি হায়দার আলী মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান বুলবুলের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুর রশিদ সরকার, সহ-সভাপতি মহসিন আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম হাবিব নয়ন, আতাউর রহমান সবুজ, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান বাচ্চু, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান আলী সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক এহসানুল করিম প্রিন্স, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক তৌফিকুর রহমান লাভলু, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব তৌফিকুর রহমান তৌফিক, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান বিপুল, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব হামিদুর রহমান, উপজেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক হাজেরা বেগম লাকী ও পৌর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক রশিদা বেগম লতা প্রমুখ।
গাজীপুর প্রেসক্লাবের উদ্যোগ বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন :
গাজীপুরে ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার বিকালে গাজীপুর প্রেসক্লাবের আয়োজনে ক্লাবের ভবনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসক্লাবের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান টিটুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহ সামসুল হক রিপনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মাজহারুল আলম। বক্তব্য রাখেন ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আমিনুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সহসভাপতি রেজাউল বারী বাবুল, সাংবাদিক শামসুল হক ভূইয়া, জিয়া পরিষদ নেতা আসাদুজ্জামান সোহেল প্রমুখ। প্রধান অতিথির তার বক্তব্যে বলেন, ৭ নভেম্বর দেশের স্বাধীনতাকে রক্ষা করেছে। দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছে। ৭ নভেম্বরের চেতনাকে কোনভাবেই মুছে ফেলা যাবে না। জাতির ক্রান্তিলগ্নে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যেমন ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়েছিলেন তেমনিভাবে তিনি ১৯৭৫ সালে সিপাহী জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে তিনি দেশের স্বাধীনতাকে রক্ষা করেছিলেন।
খুলনার পাইকগাছায় জাতিয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন :
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর পথ হারনো বাংলাদেশকে সঠিক পথের সন্ধান দিয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। সিপাহি-জনতার বিপ্লব না হলে বাংলাদেশ পরিনত হতো ভারতের করদ রাজ্যে। ৭ নভেম্বর শুধু সিপাহী বিপ্লব নয়,জনতার হাত ধরে বাংলার মানুষ অর্জন করে দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীনতার স্বাদ। অথচ এই দিনটাকে মুছে ফেলার জন্য আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রকাশ্য নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কিন্তু তারা জানে না কাগজে কলমে এই দিন নিষিদ্ধ করা হলেও মানুষের মনে খোদাই করে লেখা কখনো মুছা যাবে না। ৭ নভেম্বর উপলক্ষে পথসভায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি ডাঃ আব্দুল মজিদ এসব কথা বলেন। সিপাহি-জনতার বিপ্লব বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) পাইকগাছা উপজেলা ও পৌর বিএনপির যৌথ আয়োজনে র্যালি ও পথসভার আয়োজন করা হয়। বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয় থেকে র্যালিটি শুরু হয়ে পাইকগাছা বাজার পোস্ট অফিস মোড়ে পথসভার মধ্য দিয়ে শেষ হয়। পাইকগাছা পৌর আহবায়ক সেলিম রেজা লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত র্যালি ও পথসভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সভাপতি পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ডা: আব্দুল মজিদ (এমবিবিএস)। বিশেষ অতিথি হিসেবে পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল,এড, জি এম আব্দুস সাত্তার সাবেক মোড়ল শাহাদাত হোসেন ডাবলু,মোস্তফা মোড়ল,আবুল হোসেন,এড, সাইফুদ্দিন সুমন। অন্যানোর মধ্যে অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, শেখ ইমামুল ইসলাম, আনারুল ইসলাম, আব্দুল মজিদ গোলদার, গাজী আমিনুর রহমান বাহার,আসাদুজ্জামান খোকন, প্রভাষক আবু সালেহ ইকবাল, নাজির আহমেদ, তোফাজ্জল হোসেন, সন্তোষ সরকার, আবু মুসা, বাবর আলী গোলদার, আসাদুজ্জামান ময়না, মফিজুল ইসলাম টাকু,মোস্তাকিম গাজী,মীর শাবান আলী,শেখ বাদশা মিয়া,মেসের আলি সানা, সরদার ফারুক, মাস্টার মুজিবুর রহমান, সাইদ আলী বাবলা, প্রনব কান্তি মন্ডল, আবুল কাশেম, রাবিদ মাহমুদ চঞ্চল, টি এম শিমুল, মারুফুল হক প্রিন্স, যুবদলের হুরায়রা বাদশা,মোহর আলী সরদার , আজারুল গাজী, আকিজ বিশ্বাস,জামিলুর রহমান রানা, প্রভাষক মনিরুজ্জামান মনি,সরজিত ঘোষ দেবেন,নাজমুল হুদা মিন্টু,রায়হান পারভেজ টিপু,শামসুজ্জামান, আরিফুল ইসলাম, হাফেজ আবু মুসা,মাওলানা আবুল কালাম,গোলাম রব্বানী, আজাদ, আসাদুজ্জামান মামুন,ওবাইদুল্লাহ সরদার,মো: দিদারুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম,আবু সুফিয়ান, সামাদ হাসান,শহিদুর রহমান শহীদ,রাসেল হুসাইন, জাহাঙ্গীর হোসেন, কুদ্দুস গোলদার,আবু হানিফ মিলন নজরুল ইসলাম, রাজেশ রাজা,মনিরুজ্জামান সুজন, জাহিদ হাসান, মারুফ হোসেন, মাসুম হাজরা,ইদ্রিস খা,জুলফিকার জুলু,রবিউল মোড়ল,আহসান, হান্নান গাজী,বাহারুল ইসলাম,ফরহাদ হোসেন, শাহরিয়ার, আফতাব হোসেন, মাহবুব,দারা,শেখ নাজিম আহমেদ, আরিফ,মামুন গাজী,ওসমান,বাপ্পী মোল্লা, তেয়ুবুর,মেম্বার জবেদ আলী, মোশাররফ হোসেন, সিরাজুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, চায়েব আলী,খোকা সরদার, জাফর মল্লিক,আরিফ হোসেন, আসাদুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান, মিজানুর রহমান,মাসুদুর রহমান রানা, রাশেদ বিশ্বাস,আমিনুল ইসলাম, খান মাসুম, শফি গাজী,নুর আলী গোলদার,শাহীন মোড়ল,লুতফুর গাজী, রফিকুল ইসলাম, সিরাজ গাজী, আমাদুল ইসলাম, রাশেদুজ্জামান প্রমুখ।
দিনকাল/এসএস/এমএইচআর