নোয়াখালীতে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে চাচীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, ছাত্রলীগ নেতার ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২৭ পিএম, ৪ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪ | আপডেট: ০৪:১৯ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ছুরিকাঘাতে আপন চাচীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ইমরান খান আকাশ (২৬) নামে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
গত শনিবার (২ নভেম্বর) কুতুবপুর ইউনিয়নের আবদুল্লাহপুর যুব সমাজের উদ্যোগে ওই কর্মসূচী পালন করা হয়। এতে অভিযুক্ত ইমরান খান আকাশকে গ্রেপ্তার করে ফাঁসিতে ঝুলাতে বিভিন্ন শ্লোগান দেওয়া হয়।
এর আগে গত বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাতে কুতুবপুর ইউনিয়ননের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুল্লাহপুর হাসপাতালের টেক এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। শনিবার (২ নভেম্বর) রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত নারী মারা যান।
অভিযুক্ত ইমরান খান আকাশ বেগমগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জাহাঙ্গীর আলম মানিকের ছেলে। তিনি নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ওই ওয়ার্ডের বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিন কন্যার জননী নিহত তাজ নাহার বেগম (৪৬) সম্পর্কে ধর্ষক ইমরান খান আকাশের চাচী হন। আট মাস আগে ইমরানের চাচা ও ভুক্তভোগীর স্বামী আলমগীর খান মারা যান। গত বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাতে অভিযুক্ত আকাশ তার সহযোগিদের নিয়ে তাজনাহারকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এতে ব্যর্থ হয়ে ওই নারীর শরীরের বিভিন্নস্থানে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করেন। মূর্মুর্ষ অবস্থায় চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। ২ নভেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে তার মৃত্যু হয়।
মানববন্ধনে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ইমাম হোসেন, সাবেক চেয়ারম্যান মমিন উল্যাহ, সমাজসেবক জাহাঙ্গীর আলম হিরনসহ এলাকার লোকজন ও নিহতের তিন মেয়ে এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।
সাবেক চেয়ারম্যান মমিন উল্যাহ বলেন, স্বামীহারা তাজ নাহারকে হত্যার দায়ে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ক্যাডার ইমরান খান আকাশ গ্রেপ্তার করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে বিচার করতে হবে। অন্যথায় ওই নারীর আত্মা শান্তি পাবে না। অন্যদিকে সন্ত্রাসী আকাশকে গ্রেপ্তার না করলে সে তাজনাহারের তিন এতিম শিশুকন্যার ক্ষতি করতে পারে।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান বলেন, তাজনাহার আহত হওয়ার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। এখন তার মৃত্যুতে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে। এলাকাবাসীর প্রতিবাদের বিষয়টি শুনেছি। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।