শীতের আগমনী বার্তা, সৈয়দপুরে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগরেরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৩০ পিএম, ৩১ অক্টোবর,বৃহস্পতিবার,২০২৪ | আপডেট: ০৪:২১ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
শীতের আগমনী বার্তায় উত্তরের জেলা নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কারিগরেরা।
শীত নিবারণের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে লেপ তোষক বানাতে ক্রেতারাও ভিড় করছেন দোকানগুলোতে। অনেকেই আবার ব্যস্ত নিজের পুরোনো লেপ-তোষক মেরামতে।
শহরের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, লেপ-তোষকের সব দোকানে কারিগরদের ব্যসতা, দোকানিরাও অর্ডার নিচ্ছেন। ক্রেতাদের বিভিন্ন মানের কাপড় ও তুলা দেখাতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
উপজেলাটিতে ভোরে ও রাতে বর্তমানে কিছুটা শীত অনুভূত হচ্ছে। ফলে যে যার সাধ্যমতো শীত মোকাবেলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এলাকার লোকজন রাতের বিছানায় টেনে নিচ্ছেন কাঁথা বা কম্বল।
সৈয়দপুর উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের আবদুল মান্নান এর বউ রেহেনা খাতুন নিজেদের পুরোনো ব্যবহারি কাঁথা সেলাই করে ব্যবহার উপযোগী করছেন। তারা জানান, আমরা গরিব মানুষ খেটে খাওয়া মানুষ, আমাদের ঠাণ্ডা কম লাগে।
জানা গেছে, বাজারে প্রতি কেজি শিমুল তুলা প্রায় ৪০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এসব তুলায় বালিশ তৈরি করেন সমাজের ধনী লোকেরা। আর গার্মেন্টস তুলায় বালিশ, লেপ ও তোষক বানিয়ে নেন মধ্যবিত্ত ও গ্রামের গরিব মানুষেরা। তবুও বর্তমান বাজারে ৫ হাত বাই ৫ হাত লেপ তৈরি করতে ১২০০ টাকার মতো খরচ হচ্ছে। যা গতবারের চেয়ে ১০০ টাকা বেশি।
বাজারে কার্পাস তুলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, প্রতি কেজি কালো হুল ২০ থেকে ৪০টাকা, কালো রাবিশ তুলা ২০থেকে ৪০ টাকা, সাদা তুলা ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা করে দাম চলছে। সৈয়দপুর পৌর এলাকার ৬ নং ওয়াডের জুম্মাপাড়ার বাসিন্দা বাবু জানান, বাজারে প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এবার লেপ-তোষক তৈরির খরচও বেড়েছে। তাই পুরোনো লেপ খুলে নতুন করে তৈরি করার জন্য দোকানে নিয়ে এসেছি। তুলার খরচ বাদ দিয়ে কাপড় ও মজুরি বাবদ ১১০০ টাকায় বানাতে দিয়েছি।
উপজেলার কামারপুকুরের বাসিন্দা জয়নাল আবেদীন জানান, এবারে বেশি শীত হতে পারে। তাই আগে ভাগে লেপ তৈরির জন্য দোকানে এসে অর্ডার দিচ্ছি।
সৈয়দপুর পৌর শহরের গাউসিয়া বেডিং স্টোরের মালিক আসগর আলী জানান, শীতের শুরুতেই ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। ক্রেতাদের এ আনাগোনা চলবে পুরো শীতজুড়ে।
তিনি আরও বলেন, আকার অনুযায়ী লেপ-তোষক তৈরিতে দাম ১২০০ টাকা থেকে ১৩০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। একটি লেপ তৈরি করতে এখন মজুরি ২০০ টাকা। এছাড়া তোষক ২৫০ টাকা, বালিশ প্রতিটি ১০০ টাকা এবং জাজিম তৈরিতে ১০০ টাকা হারে মজুরি নেওয়া হচ্ছে। এই মজুরির হার অন্য সময়ের চাইতে কিছুটা বেশি। শীত মৌসুমে এ ব্যবসা করে তাদের পরিবারের খরচ যোগায়।
দিনকাল/এসএস