নারায়ণগঞ্জে অপ্রীতিকর কিছু ঘটলে শামীম ওসমান দায়ী-মেয়র আইভী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৩১ পিএম, ৮ ফেব্রুয়ারী,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:০৮ পিএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
নাসিক মেয়র ও মহানগর আ’লীগের সিনিয়ির সহ-সভাপতি সেলিনা হায়াৎ আইভী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে এবার শহরের দেওভোগে জিউস পুকুর পাড়ে গণসমাবেশ হয়েছে।
গত ৬ ফেব্রুয়ারী বিকেলের ওই গণসমাবেশের পর প্রতিক্রিয়া এসেছে মেয়র আইভীর কাছ থেকে। ওই সমাবেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের চেয়ে বেশী ছিলেন এমপি শামীম ওসমানের অনুগামীরা। এদিকে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানান, এ সমাবেশের সমস্ত খরচ বহন করেছেন শামীম ওসমান। সংবাদটি প্রকাশ করার জন্য স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা ও সাংবদিকদের উৎকোচ দেয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে এ প্রতিবেদককে দেওয়া বক্তেবে সিটি করপোরেশন মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, এখানে যে সমস্ত হিন্দু মুসলিমদের ক্ষেপিয়ে আজকে নারায়ণগঞ্জে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির চেষ্টা করা হচ্ছে। যেকোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে দায়ী থাকবে শামীম ওসমান।
ডিআইটি জামে মসজিদ উচ্ছেদ করার বিষয়ে তিনি বলেন, ডিআইটি মসজিদ নিয়ে আমি কোন কথাই বলিনি। এসব মিথ্যা কথা। মাওলানা আউয়াল সাহেব বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন এগুলো নিয়ে পরে বলা হবে।
গত ৬ ফেব্রুয়ারী শনিবার দুপুরে ১৪ নং ওয়ার্ডের দেওভোগ জিউস পুকুরের পাশের সড়কে গণসমাবেশের আয়োজন করেন জেলা হিন্দু সম্প্রদায়। সেই সমাবেশে ওসমান বলয়ের অনুগামীরা বরাবরের মত অংশগ্রহণ করে জ্বালামীয় বক্তব্য দিয়ে গেছেন।
সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্মল চ্যাটার্জী, মহানগর আ’লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভূইয়া সাজনু, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া, কাউন্সিলর শফিউদ্দিন প্রধান, কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত আলম সানি, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আজিজুর রহমান আজিজ, সেক্রেটারী রাফেল প্রধান, মহানগরের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ, সাবেক সভাপতি সাফায়েত আলম সানি, সেক্রেটারী মিজানুর রহমান সুজন প্রমুখ। তারা সকলেই শামীম ওসমান পন্থি।
এর আগে গত ২ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে একই দাবিতে আয়োজিত প্রতীকী অনশনে সংখ্যালঘু নেতাকর্মীদের পাশাপাশি আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের একাংশ উপস্থিত ছিল। সেখানে এমপি শামীম ওসমান অনুগামীদের প্রায় সকলে উপস্থিত ছিল।
একই দাবিতে গত ১১ নভেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন সংখ্যালঘু নেতা সহ আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দদের একাংশ। সেই মানববন্ধনে সংখ্যালঘু নেতাদের সাথে শামীম ওসমান অনুগামী খোকন সাহা চন্দনশীল সহ অনেকে উপস্থিত ছিল।
এর আগে সমাবেশকে কেন্দ্র করে শহরের বিভিন্ন স্থানে সাটানো হয় পোস্টারিং। তাছাড়া ২০১৬ ও ২০১১ সালের দুটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আগেও দুইবারই মেয়র নির্বাচিত সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিরুদ্ধে নানা ধরনের পোস্টারিং, ব্যানার ফেস্টুন সাটানো হয়। শহরে মঞ্চ তৈরি করে জনতার আদালত তৈরি করে সাজা প্রদান সহ নানা ধরনের চেষ্টা হয়। আসছে ভোট কেন্দ্র করে সেটা যখন শুরু হয় তখন ক্রমশ প্রকট আকারে রূপ নিচ্ছে। দুইদিন ধরে নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন স্থানে আবারো আইভীর বিরুদ্ধে হাজার হাজার পোস্টারিং করা হয়েছে। দেয়ালে সাটানো হয়েছে পোস্টার।