কিশোরগঞ্জে স্বাস্থ্যসচিবের বাড়িতে হামলা, এসিল্যান্ড লাঞ্ছিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৩২ পিএম, ৭ ফেব্রুয়ারী,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ১০:১৬ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলায় স্বাস্থ্যসচিব (সেবা বিভাগ) আবদুল মান্নানের গ্রামের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলার চানপুর গ্রামে লাঠিসোঁটা নিয়ে একদল লোক এই হামলা চালায়।
এ সময় সেখানে থাকা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি বা এসিল্যান্ড) আশরাফুল আলমকে লাঞ্ছিত করা হয়। স্বাস্থ্যসচিব বাড়িতে থাকলেও তিনি হামলা থেকে রক্ষা পান। তার পরিবারের দাবি, একটি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এই হামলা চালিয়েছে স্থানীয় লোকজন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্যসচিব আবদুল মান্নানের বাড়ি উপজেলার চানপুর গ্রামে। স্বাস্থ্যসচিবের পরিবারের সদস্যদের দেওয়া জায়গায় একটি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হচ্ছে। ক্লিনিক নির্মাণে সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছেন স্বাস্থ্যসচিব। তবে ক্লিনিক নির্মাণ বিষয়ে স্থানীয় কাউকে অবগত করা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে উত্তেজনা চলছিল।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্যসচিব গ্রামের বাড়িতে যান। গতকাল বেলা ১১টার দিকে তিনি বাড়ির পাশের নির্মাণাধীন ক্লিনিকের কাজ দেখতে যান। এ সময় ২০ থেকে ২৫ জন লোক গিয়ে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার দাবি তোলেন। এ নিয়ে সচিবের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তারা চলে যান।
এরপর বেলা পৌনে ১টার দিকে কয়েকটি অটোরিকশা ও মাইক্রোবাসে করে নির্মাণাধীন ক্লিনিকের সামনে শতাধিক লোক যান। তাদের হাতে লাঠি ও ধারালো অস্ত্র ছিল। এ সময় তারা সচিবের নাম ধরে গালিগালাজ শুরু করেন ও নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতে বলেন। সচিব বাড়িতে আসার পর থেকে তার সঙ্গে অবস্থান করছিলেন স্থানীয় এসিল্যান্ড আশরাফুল আলম।
তিনি ঘটনা জানতে এগিয়ে আসা মাত্র তার ওপর হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা তাকে পুকুরে ফেলে দেন। নির্মাণশ্রমিকদের মারধর করে বের করে দেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও উত্তেজনা থেকে যায়। পরে ঘটনাস্থলে যায় র্যাব। এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, এসিল্যান্ডকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে।
ফোনে চেষ্টা করেও স্বাস্থ্যসচিব আবদুল মান্নানের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে তার ছোট ভাই নাসির উদ্দিন দাবি করেন, হামলাকারীদের অনেকে তাদের পরিচিত। সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল আলমকে ফোন দিলে ফোনটি ধরেন স্বাস্থ্যসচিবের চাচাতো ভাই মো. ফেরদৌস। তিনি বলেন, হামলায় আহত হওয়ার পর থেকে ফোনটি তার কাছে আছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. আখতারুন নেছাকে ফোন করে পাওয়া যায়নি। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে থাকা কটিয়াদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল হামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে আছে।