৭২ হাজার টন ইউরিয়া সার ‘নিখোঁজ’
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০৮ পিএম, ৪ জানুয়ারী,
বুধবার,২০২৩ | আপডেট: ০৮:০৮ এএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
সরকারের আমদানিকৃত ৭২ হাজার টন ইউরিয়া সার নিখোঁজের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট পরিবহন ঠিকাদারের বিরুদ্ধে মামলা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি)। দৈনিক নিউ এজে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। পাঠকদের জন্য প্রতিবেদনটির বাংলা অনুবাদ এখানে দেওয়া হলো।
সরকারের আমদানিকৃত ৭২ হাজার টন ইউরিয়া সার নির্ধারিত গুদামে পৌঁছে দিতে বারবার ব্যর্থ হবার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট পরিবহন ঠিকাদারের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেবে না শিল্প মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন সংস্থা বিসিআইসি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি সরকারি গুদামে সরবরাহ না করায় কমপক্ষে ৭২ হাজার টন ইউরিয়া খোয়া গেছে বলে খবরে প্রকাশ।
গতকাল মঙ্গলবার (০৩ জানুয়ারি) বিসিআইসি চেয়ারম্যান এসএ আলম জানিয়েছেন, উল্লিখিত সার ঠিকাদারের কাছে থাকায় তারা আপাতত এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেবেন না। সরকারি সংরক্ষণাগারে স্থান সংকুলান না হলে ঠিকাদাররা সরকারি মাল সাময়িকভাবে নিজেদের কাছে রাখেন বলে তিনি জানান।
বিসিআইসি চেয়ারম্যান বলেন, যেহেতু ঠিকাদার আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং অবশিষ্ট সার সরবরাহ নিতে আহ্বান জানিয়েছে, তাই আমরা তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেব না।
এর আগে গত বছরের ২০ ডিসেম্বর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান পোটন ট্রেডার্সের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের অনুমতি চেয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায় বিসিআইসি। তার আগে ১৫ ডিসেম্বর বিসিআইসির সঙ্গে নতুন কোনো কার্যক্রমে পোটন ট্রেডার্সকে নিষিদ্ধ করা হয়।
বিগত বছরে সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ২৪৪ টন সার আমদানি করে সরকার। এরমধ্যে ৩ লাখ ২১ হাজার ৩২৮ টন সার সরকারি গুদামে সরবরাহ করে পোটন ট্রেডার্স। অবশিষ্ট ৭১ হাজার ৯১৬ টন সার সরবরাহ করেনি প্রতিষ্ঠানটি।
গত বছরের ২২ আগস্ট বিসিআইসি অবশিষ্ট সার সরবরাহ করতে পোটন ট্রেডার্সকে চিঠি দেয়। তবে প্রতিষ্ঠানটি তাতে ব্যর্থ হয়। এরপর ৩১ অক্টোবর বিসিআইসির পক্ষ থেকে বিষয়টি শিল্প মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়।
এ ঘটনায় বিসিআইসি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। গত ৮ ডিসেম্বর কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। এতে বলা হয়, পোটন ট্রেডার্স অবশিষ্ট সার সরবরাহ না করে খোলাবাজারে বিক্রি করে দিয়েছে।
শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন গতকাল মঙ্গলবার একটি বাংলা দৈনিককে বলেন, তিনি এ বিষয়ে বিসিআইসির কোনো চিঠি পাননি। বরং তিনি সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের কাছে জানতে চেয়েছেন কিভাবে এমন স্পর্শকাতর একটি নথি তিনি হাতে পেয়েছেন।
নিউ এজের পক্ষ থেকে একাধিকবার টেলিফোন করে ও টেক্সট মেসেজ পাঠিয়ে শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
পোটন ট্রেডার্সের সত্বাধিকারী কামরুল আশরাফ খান পোটন টেলিফোনে জানান, তার প্রতিষ্ঠান বিসিআইসিকে সার সরবরাহের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা বিসিআইসিকে পণ্যগুলো ক্রমান্বয়ে সরবরাহ করছি। পরিমাণ বেশি হওয়ায় চালানের একটি বড় অংশ ট্রানজিটে রয়েছে। এ কারণে সরবরাহে বিলম্ব হচ্ছে। আমরা অচিরেই সরবরাহের কাজ সম্পন্নের আশা করছি।