কিশোরগঞ্জে চিকিৎসক অপহরণ, খোঁজ মেলেনি ১৬ ঘণ্টায়ও
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০১ পিএম, ১৩ নভেম্বর,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:১২ এএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
কিশোরগঞ্জে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মির্জা কাওসারকে কালো মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যাওয়ার ১৬ ঘণ্টা পরও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
গতকাল শনিবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাতটার দিকে জেলা শহরের খরমপট্টি এলাকার মেডিক্স কোচিং সেন্টার থেকে মির্জা কাওসারকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেন কয়েকজন ব্যক্তি। ওই কোচিং সেন্টারের পরিচালক ছিলেন তিনি।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে বলেন, অপহৃত চিকিৎসক মির্জা কাওসারের সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর খোঁজে পুলিশের একাধিক দল মাঠে কাজ করছে। সিসিটিভির সব ফুটেজ যাচাই–বাছাই করে দেখা হচ্ছে।
২৮ বছর বয়সী মির্জা কাওসার প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফার্মাকোলজি বিভাগের প্রভাষক। তাঁর বাড়ি জেলার বাজিতপুর উপজেলার উজানচর এলাকায়।
কাওসারের সহকর্মী ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী চিকিৎসক সুমন মিয়া বলেন, গতকাল সন্ধ্যা সাতটার দিকে কালো রঙের একটি মাইক্রোবাসে শহরের মেডিক্স কোচিং সেন্টারের সামনে আসেন পাঁচজন ব্যক্তি। পরে তাঁরা কোচিংয়ের দ্বিতীয় তলায় এসে জানতে চান পরিচালক কে। এ সময় কার্যালয়ে ঢুকে কাওসারের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলে তাঁরা তাঁকে নিয়ে নিচে নামেন। নিচে মাইক্রোবাসের ভেতরে আরও দুজন লোক বসা ছিলেন। মাইক্রোবাসে তোলার পর কাওসার ভেতর থেকে মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষকে ফোন দিতে বললে একজন এসে ফোনটি কেড়ে নেন।
মির্জা কাওসারের বাবা আবদুল হাকিম বলেন, তাঁর জানামতে কাওসারের সঙ্গে কারও কোনো শত্রুতা নেই। কেন তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে, এ বিষয়ে তিনি কিছুই বুঝতে পারছেন না।
প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ আ ন ম নৌশাদ খান বলেন, মির্জা কাওসার খুবই নিরীহ প্রকৃতির ও মেধাবী মানুষ। মেডিক্স কোচিং সেন্টারটি অল্পদিনেই অনেক এগিয়েছে। কোচিং সেন্টারকেন্দ্রিক কোনো ঘটনা, নাকি অন্য কোনো কারণে তাঁকে তুলে নেওয়া হয়েছে; বিষয়টি তাঁরা এখনো বুঝতে পারছেন না।