কাঠের গুঁড়া ও পচা মরিচে রং মিশিয়ে তৈরি করা হতো গুঁড়া মসলা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৫৩ পিএম, ৩১ অক্টোবর,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ১১:৪৮ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে মোঃ আশিকুজ্জমানের মালিকানাধীন মেসার্স ইশাবা ট্রেডিং কর্পোরেশনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা।
পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) অনুমোদন আছে। আছে পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্সও। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে কারখানার বাইরের দেওয়ালে পণ্যের চটকদার বিজ্ঞাপন দেওয়া আছে। তবে বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ও পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্সকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে কারখানায় দীর্ঘদিন ধরে তৈরি করা হচ্ছিল মরিচের ভেজাল গুঁড়া মসলা। কাঠের গুঁড়া ও পচা কাঁচা মরিচ শুকিয়ে ও এর সাথে ক্ষতিকারক রং মিশিয়ে তৈরি করা হতো ই গুঁড়া। পরে এসব ভেজাল মরিচের গুঁড়া বাজারজাত করা হতো।
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ভেজাল গুঁড়া মসলা উৎপাদনের এমন ভয়াবহ বাস্তবতা ধরা পড়েছে। এমন অপরাধে পৌর শহরের পানিধার এলাকায় মোঃ আশিকুজ্জমানের মালিকানাধীন মেসার্স ইশাবা ট্রেডিং কর্পোরেশনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটিতে মজুত করা প্রায় ২ হাজার কেজি পচা মরিচ ও কাঠের গুঁড়া ধ্বংস করা হয়েছে।
গতকাল রবিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে বড়লেখা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম জাহাঙ্গীর হোসাইন। এসময় বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ইয়ারদৌস হাসান, বড়লেখা উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর মোঃ আফসার আলী, বড়লেখা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) এ এইচ এম মাহমুদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমান আদালত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বড়লেখা পৌরসভার পানিধার এলাকায় বিএসটিআইয়ের অনুমোদন নিয়ে মোঃ আশিকুজ্জমানের মালিকানাধীন মেসার্স ইশাবা ট্রেডিং কর্পোরেশন নামে একটি কারখানায় দীর্ঘদিন ধরে কাঠের গুঁড়া ও পচা মরিচে ক্ষতিকারক রং মিশিয়ে গুঁড়া (মরিচ) করে বাজারজাত করছিল। এমন খবর পেয়ে রবিবার দুপুরে ঐ কারখানায় অভিযান চালান বড়লেখার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম জাহাঙ্গীর হোসাইন। এসময় সেখান থেকে ২ হাজার কেজি পচা - নষ্ট মরিচ ও কাঠের গুঁড়া জব্দ করা হয়। পরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর (৪৩) ধারায় কারখানার মালিক আশিকুজ্জামানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করে তা আদায় করা হয়েছে।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, প্রতিষ্ঠানটি বিএসটিআইয়ের অনুমোদন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাঠের গুঁড়া ও পচা মরিচ গুঁড়া করে বাজারজাত করছে। এই অপরাধে কারখানার মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া জব্দ করা প্রায় ২ হাজার কেজি ভেজাল মরিচ ও কাঠের গুঁড়া ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় ধ্বংস করা হয়েছে। কারখানাটির লাইসেন্স বাতিলের জন্য বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে।