শরীয়তপুর-ঢাকা মহাসড়কে মাইক্রোবাস খাদে, মেয়েসহ আইনজীবী নিহত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৫৫ পিএম, ৩০ অক্টোবর,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:৪৬ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
শরীয়তপুর-ঢাকা মহাসড়কের জামতলা নামক স্থানে একটি মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে আইনজীবী ও তার মেয়ে নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে আরও তিনজন।
গতকাল শনিবার (২৯ অক্টোবর) গভীর রাতে নড়িয়া উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নের জামতলা নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন শরীয়তপুর জজ কোটের এপিপি অ্যাডভোকেট রাশিদুল হক রাসেদ (৪২) ও মেয়ে মাইশা অক্তার মিম (২)।
অ্যাডভোকেট রাশিদুল হক রাসেদ শরীয়তপুর সদর উপজেলা আংগারিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ ভাষাচর গ্রামের আবুল হোসেন বেপারির ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার উত্তরা থেকে শরীয়তপুরের নিজ বাড়িতে আসার সময় মাইক্রোবাসটি অ্যাডভোকেট রাশিদুল হক রাসেদ নিজেই চালাচ্ছিলেন।
গাড়িতে তার স্ত্রী মিলি আক্তার, মেয়ে মেবিন আক্তার, মাইশা আক্তার মিম ও গাড়িচালক কামরুল ইসলাম ছিলেন।
শরীয়পুরের নড়িয়া উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নের জামতলা নামক স্থানে আসলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাইক্রোবাসটি রস্তার পাশে খাদের পানিতে ডুবে যায়।
এ সময় চালকের আসনে থাকা অ্যাডভোকেট রাশিদুল হক রাসেদ ও তার মেয়ে মাইশা অক্তার মিম নিহত হন। মাইক্রোবাস থাকা তার স্ত্রী সোহানা আক্তার মিলি, মেয়ে মেবিন আক্তার ও গাড়িচালক কামরুল ইসলাম আহত হন। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন তাদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
নিহত অ্যাডভোকেট রাশিদুল হকের স্ত্রী মিলি আক্তার বলেন, শনিবার রাত সাড়ে ১২টায় ঢাকার উত্তরা থেকে বাড়ি উদ্দেশে রওনা দিই। আমার স্বামী গাড়ি চালাচ্ছিলেন। পথে মধ্যে ঘুমের কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঢাকা-শরীয়তপুর মহাসড়কের জামতলা নামক স্থানে খাদে পড়ে যায়। এতে আমরা রক্ষা পেলেও আমার স্বামী ও শিশুসন্তান মারা যায়।
নড়িয়া থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, রাত আড়াইটার দিকে নড়িয়া থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন তাদের উদ্ধার করে। এর পর তাদের জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কতব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।