নারায়ণগঞ্জে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, ৪ জনের ফাঁসি ও ১ জনের যাবজ্জীবন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৫৩ পিএম, ১৮ অক্টোবর,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:৩৪ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
নারায়ণগঞ্জে ষষ্ঠ শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ৪ আসামিকে ফাঁসির আদেশ ও এক আসামির যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেছেন আদালত। একই সাথে একজনকে খালাস প্রদান করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের ১৭ বছর পর রায় ঘোষণা করে আদালত।
আজ মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সকালে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এ রায় ঘোষণা করেন। হত্যাকান্ডের পর নিহতের বাবা আক্তার হোসেন এ ঘটনায় মামলাটি দায়ের করেছিলেন।
মৃত্যুদন্ড প্রাপ্তরা হলো, কামরুল হাসান, রবিউল, আলী আকবর, শুক্কুর আলী। এসময় সহায়তাকারী হিসেবে ডলি বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়। নাসরিন আক্তার নামে আরেক আসামিকে খালাস প্রদান করা হয়েছে। এসময় আদালতে পলাতক ছিল রবিউল ও ডলি বেগম। বাকিরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রসিকিউশন শাওন শায়লা জানান, ২০০৫ সালের ৩ জুন সকালে ফতুল্লার মুসলিম নগরের কেএম স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী আফসানা আক্তার নিপাকে জোরপূর্বক বক্তাবলী লক্ষ্মীনগর এলাকায় একটি ক্ষেতে নিতে ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। মৃত্যুর সময় বয়স ছিল ১১ বছর।
তিনি আরও জানান, কামরুল, ঘটনার দিন রবিউল, শুক্কুর আলী মিলে এই ধর্ষণ করেন। এসময় আলী আকবর ছিলেন বক্তাবলীর ঐদিকের ট্রলার চালক। এ সময় কান্নার আওয়াজ পেয়ে ছুটে যান আলী আকবর। গিয়ে দেখেন তারা ৩ জন ধর্ষণ করছেন। এসময় পুলিশকে বলে দেবেন জানালে আলী আকবরকে হত্যার এবং তার স্ত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দিয়ে তাকে দিয়ে পাহারা দেয়ায় বাকি ৩ জন। পরে ধর্ষণ শেষে তাকেও ধর্ষণ করতে বলা হলে তিনি দেখেন মেয়েটির অবস্থা গুরুতর। পরে সে আর ধর্ষণ করেনি। পরে মেয়েটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর প্রথমে ডলি আক্তারের বাসায় ও পরে নাসরিনের বাসায় নেয়া হয়। দুজনে মিলে লাশটি আবার ক্ষেতে নিয়ে ফেলে আসে। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে আদালত আজ এ রায় ঘোষণা করেছেন।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, ধর্ষণ মামলায় ৪ আসামি মৃত্যুদন্ড ও এক আসামি যাবজ্জীবন কারাদন্ড ঘোষণা করেছেন আদালত। এসময় আরো একজনকে খালাস প্রদান করা হয়েছে।