খুলনায় বন্ধুকে আটক রেখে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার- ৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:১০ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:৫৫ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
খুলনায় বন্ধুকে আটক রেখে এক স্কুলছাত্রীকে (১৬) গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ৩ যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর আগে গত সোমবার বেলা সাড়ে ১১ দিকে নগরীর খালিশপুর থানার মদিনাবাগ আবাসিক এলাকায় ঐ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার ঐ কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।
গ্রেফতার হওয়া তিন যুবক হলেন, নগরীর পাবলা সবুজ সংঘ মাঠ এলাকার মো. জয়নাল আবেদীনের ছেলে মো. মেজবাহ উদ্দীন (২৫), একই এলাকার মো. সুজন মোল্লার ছেলে মো. ইমন মোল্লা (২০) ও পাবলা বৈরাগীপাড়া এলাকার মো. মাহারাজ চৌকিদারের ছেলে মো. শিমুল চৌকিদার (২০)।
পুলিশ জানায়, গণধর্ষণের শিকার ঐ কিশোরী নগরীর দৌলতপুর থানা এলাকার বাসিন্দা। তিনি ফুলবাড়িগেট এলাকার একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। সোমবার সকালে বন্ধু মারুফের সঙ্গে সে ঘুরতে বের হয়। দৌলতপুর শামীম হোটেলে অবস্থানের সময় মারুফ তার বন্ধু ও ফুফাতো ভাই মেজবাহকে ফোন দেয়। ফোনের বিপরীত থেকে জানানো হয় ভাবিকে নিয়ে ঘুরতে আয়। মারুফ ফোন পেয়ে ঐ কিশোরীকে নিয়ে সকাল সোয়া ১১ টার দিকে ইজিবাইকে দৌলতপুরের পাবলা সবুজ সংঘ মাঠের দিকে যায়। তখন মেজবাহ তার অপর দুই বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে ইজিবাইকে খালিশপুর মদিনাবাগ এলাকার একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। এ সময় মারুফের কাছে মেজবাহ টাকা দাবি করে। তার কাছে টাকা না থাকায় তাকে আটকে রেখে মেজবাহ, ইমন ও শিমুল ঐ কিশোরীকে জোরপূর্বক একের পর এক ধর্ষণ করে। পরে মারুফ ও তার বান্ধবীকে মারধর ও ভয়ভীতি প্রদান করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আসামি মেজবাহ মারুফের বন্ধু ও ফুফাতো ভাই। ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বাবা মঙ্গলবার থানায় মামলা দায়ের করলে আসামি তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার তিনজনই ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।’