মুন্সীগঞ্জে প্রাইভেট কার খালে, দুই বন্ধুর মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০১ পিএম, ১৪ মে,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:৫৩ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় গভীর রাতে ঘুরতে বেরিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাইভেট কার খালে পড়ে দুই বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরেকজন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার (১৩ মে) দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার পুরাবাজার এলাকার নির্মাণাধীন সেতুর খাদে পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার উত্তর চরমসুরা এলাকার মো. মানিক মিয়ার ছেলে মো. জিসান (১৯) এবং একই এলাকার সরবতুল্লার ছেলে ফাহিম (১৭)। জিসান এবার স্থানীয় একটি উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেছেন। আর ফাহিম দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল। এ ঘটনায় আহত জাহিদ হাসানকে (১৬) মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, উত্তর চরমসুরা গ্রামের মানিক মিয়ার জামাতা লিখন ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসেন। পরে মানিক মিয়ার ছেলে জিসান তার দুই বন্ধু ফাহিম ও জাহিদকে নিয়ে গতকাল রাতে ঘুরতে বেন হন। রাত সাড়ে তিনটার দিকে ওই তিন বন্ধু টঙ্গিবাড়ী উপজেলার পুরাবাজারের কাছাকাছি আসেন। সেখানে নির্মাণাধীন সেতুর নিচে ব্যক্তিগত গাড়িটি পড়ে যায়। পরে তাদের উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
আজ শনিবার সকালে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. তোফাজ্জল হোসেন জানান, ভোররাত সাড়ে চারটার দিকে ওই তিনজনকে মুন্সীগঞ্জ জেলা হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে জিসান ও ফাহিম আনার আগেই মারা যান। তবে জাহিদ সুস্থ রয়েছে।
জানতে চাইলে দুর্ঘটনায় আহত জাহিদ বলে, রাতে তারা গাড়ি নিয়ে বের হয়। জিসান গাড়ি চালাচ্ছিলেন। পুরাবাজারের কাছাকাছি এলে নির্মাণাধীন সেতুর ওপর উঠিয়ে দেন। নির্মাণাধীন সেতুর কোনো সাইনবোর্ড ছিল না। তারা ভেবেছিল, সেতুটি সচল আছে। কিন্তু গাড়ি পুরা খালে পড়ে যায়। এরপর তার আর কিছু মনে নেই।
টঙ্গিবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা সোহেব আলী বলেন, ব্যক্তিগত গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এ সময় এলাকাবাসীর সহায়তায় তিনজনকে উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতদের ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল কিনা এবং তারা সেখানে কী করছিল তা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।