দিরাই ও সুবর্ণচরে বজ্রপাতে নিহত ৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:১৭ পিএম, ২৩ এপ্রিল,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৩৪ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে বজ্রপাতে দুই কৃষকের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল শুক্রবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের ধীতপুর গ্রাম সংলগ্ন দাভাঙ্গা হাওর তীরবর্তী ধান শুকানোর খলায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কৃষকরা হলেন- ধীতপুর গ্রামের তেজিন্দ্র দাসের ছেলে রবীন্দ্র দাস (৫৫) ও একই গ্রামের কৃষ্ণ হরি দাসের ছেলে টিপু দাস (২৫)।
স্থানীয়রা জানান, নিহত দুই কৃষক তাদের পঞ্চায়েতী খলায় ধান শুকানোর কাজ করছিলেন। সন্ধ্যার দিকে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি শুরু হয়। এ বজ্রাঘাতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান দুই কৃষক।
ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম জানান, বজ্রপাতে নিহত দুই কৃষকের সৎকার সম্পন্ন করেছে তাদের স্বজনরা। কুলঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ একরার হোসেন বজ্রপাতে দুই কৃষক নিহত হবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে সুবর্ণচর (নোয়াখালী) প্রতিনিধি জানান, নোয়াখালীর সুবর্ণচরে বজ্রপাতে আতঙ্কিত হয়ে এক ইটভাটা শ্রমিক মৃত্যু হয়েছে। নিহত শ্রমিকের নাম লোকমান হোসেন (৪২)। সে রামগতি উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়নের পূর্ব চরসীতা গ্রামের খালেক মাঝির ছেলে।
শুক্রবার (২২ এপ্রিল) ইফতারের পর সুবর্ণচর উপজেলার ৬নং চর আমান উল্লাহ ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের কচ্ছপ মার্কেটের পূর্ব পাশে এসবিএম ব্রিকফিল্ডে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ ছানা উল্যাহ জানান, নিহত লোকমান হোসেন এসবিএম ইটভাটায় কাজ করত। শুক্রবার ইফতারের পর হটাৎ বৃষ্টি ও বর্জপাত শুরু হলে ইটভাটার কাঁচা ইটের উপর ত্রিপল দিতে যায় লোকমানসহ ইটভাটার ১৫-২০ জন শ্রমিক। কাঁচা ইটে ত্রিপল দিয়ে ফেরার পথে বজ্রপাত হয়। এতে মাটিতে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যায় ওই শ্রমিক। পরে উপস্থিত অন্য শ্রমিকেরা গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঘরে নিয়ে আসে। এরপর গ্রাম্য চিকিৎসকের পরামর্শে প্রায় এক ঘন্টা পরে তাকে সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.জিয়াউল হক বলেন বজ্রপাশে আতঙ্কিত হয়ে এক ইটভাটা শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের অভিযোগ থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।