রূপগঞ্জে আ’লীগ নেতার ভাতিজার নেতৃত্বে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৪৫ পিএম, ১৬ এপ্রিল,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:৪০ পিএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় একটি মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্র্রেণীতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে আওয়ামী লীগ নেতা প্যানেল চেয়ারম্যানের ভাতিজার নেতৃত্বে জোর করে তদুলে নিয়ে ৫ জন মিলে গণধর্ষণ করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের পূর্বগ্রাম সিটি গ্রুপের বালুর চরে এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত অন্য ৪ জনকে আটক করলেও রহস্যজনক কারনে মামলার প্রধান আসামী আওয়ামী লীগ নেতার ভাতিজাকে গ্রেফতার করছেনা বলে অভিযোগ করছেন ধর্ষিতার পরিবার।
ধর্ষিতার পরিবার জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রের একটি মাদ্রাসায় ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী(১৪) বাড়ীর সামনে দোকানে সদাই কিনতে যায়। এ সময় সেখান থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় কায়েতপাড়া ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান ও চনপাড়া আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক বজলুর ভাতিজা হাসানের ছেলে জহির হোসেন পন্টু, একই এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে মুন্না, আবুল হোসেনের ছেলে ওসমান, শাহীনের ছেলে সাকিব ও আবুলের ছেলে অনিক। পরে তারা ওই শিক্ষার্থীকে স্থাণীয় সিটি গ্রুপের বালুর চরে নিয়ে গিয়ে ৫ জনে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে তার পরিবার তাকে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে জানতে পারে সন্ত্রাসী শিক্ষার্থীকে ওইদিনে নিয়ে গেছে। পরিবার গ্রামবাসীর সহায়তায় সেদিন অগ্রসর হলে রাত ১২ টার দিকে গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় তাকে সেখানে ফেলে ধর্ষকেরা পালিয়ে যায়। পরে লোকজন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করান।
এ ঘটনায় শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) শিক্ষার্থীর বড় ভাই বাদী হয়ে উক্ত ৫ জনকে আসামী করে ধর্ষণের অভিযোগ এনে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার ভিত্তিতে পুলিশ শুক্রবার মুন্না, ওসমান, সাকিব ও অনিককে গ্রেফতার করলেও রহস্যজনক কারনে প্রধান আসামী আ’লীগ নেতা কায়েতপাড়া ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যানের ভাতিজা পন্টুকে পুলিশ গ্রেফতার করছে না বলে অভিযোগ করেছেন ধর্ষিতার পরিবার। তাদের অভিযোগ চনপাড়া বস্তির ডন হিসেবে পরিচিত বজলুর সাথে রয়েছে পুলিশের বিশেষ সখ্যতা। তাছাড়া আওয়ামীলীগের স্থানীয় সর্বোচ্চ মহলের তদবিরের কারনে প্রধান অভিযুক্ত এলাকায় ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ওসি এএফএম সায়েদ বলেন, গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ৫ জনের মধ্যে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি ১ জনকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। কারও তদবিরে পুলিশ প্রধান অভিযুক্তকে আটক করছে না এ ব্যাপারটি সত্য নয় বলে দাবি করেছেন ওসি।