নূর হোসেনের চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্রিয় ছোট ভাই জজ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩০ পিএম, ১০ এপ্রিল,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:১৮ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের মামলার ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত প্রধান আসামি নূর হোসেনের সেই সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল ট্রাক টার্মিনালে বাংলাদেশ আন্তঃজেলা ট্রাক চালক ইউনিয়নের নামে আবারও চাঁদাবাজি শুরু করতে সক্রিয় হয়েছেন ছোট ভাই শীর্ষ সন্ত্রাসী নুরুজ্জামান জজ ওরফে ছোট মিয়া।
২০১৪ সালে ৭ খুনের ঘটনার পর নুর হোসেনের নিয়ন্ত্রনাধীন শিমরাইল ট্রাক টার্মিনালে বাংলাদেশ আন্তঃজেলা ট্রাক চালক ইউনিয়নের চাঁদাবাজিসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় পুলিশ প্রশাসন। এরপর বিভিন্ন সময়ে এ কার্যক্রম চালু করার জন্য তৎপরতা চালিয়ে ব্যর্থ হন নুর হোসেন বাহিনীর ক্যাডার ও দোসররা। দীর্ঘ ৮ বছর থানা পুলিশ আন্তঃজেলার কার্যক্রম পরিচালনার কোন অনুমতি দেয়নি।
এদিকে গত শুক্রবার (৮ এপ্রিল) রাতে হঠাৎ করে পুনঃরায় শিমরাইল ট্রাক টার্মিনালে বাংলাদেশ আন্তঃজেলা ট্রাক চালক ইউনিয়নের একটি সাইনবোর্ড জুলিয়ে দেন ৭ খুন মামলার নুর হোসনের ছোট ভাই একাধিক মামলার আসামি শীর্ষ সন্ত্রাসী নুরুজ্জামান জজ ওরফে ছোট মিয়া।
গতকাল শনিবার (৯ এপ্রিল) সকাল থেকে বিপুল সংখ্যক ক্যাডার বাহিনী নিয়ে অফিস নির্মান করার নামে ঘর তোলা হচ্ছে সেখানে। এতে আতংকিত হয়ে পড়েছেন সাধারণ ট্রাক চালক ও টান্সপোর্ট এজেন্সির সংশ্লিষ্টরা।
নূর হোসেন ছোট ভাই নুরুজ্জামান জজ ওরফে ছোট মিয়াকে সভাপতি ও নূর হোসেনের আরেক ক্যাডার আক্তার হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে বাংলাদেশ আন্তঃজেলা ট্রাক চালক ইউনিয়ন শিমরাইল ট্রাক টার্মিনাল শাখার নামে একটি কমিটি করা হয়েছে। এছাড়াও কমিটির কার্যকারী সদস্য হিসেবে রয়েছেন সাত খুন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সানাউল্লা সানার ভাই জাকির হোসেন ও নূর হোসেনের যাত্রাপালা ও মাদকের নিয়ন্ত্রক ফরহাদ দেওয়ান। এই কমিটির মাধ্যমেই শিমরাইল ট্রাক টার্মিনালে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রন করার পায়তারা করেছেন নুরুজ্জামান জজ ওরফে ছোট মিয়া।
উল্লেখ্য, সাত খুন ঘটনার পূর্বে সিদ্ধিরগঞ্জের অপরাধের নিয়ন্ত্রক ছিল নূর হোসেন। আন্তঃজেলা ট্রাক চালক ইউনিয়নের কার্যালয়ে বসেই নূর হোসেন ট্রাক ও গণপরিবহন, ফুটপাতের হকার, রেস্টুরেন্ট, বালুমহাল জবরদখল, এমনকি শিল্পপ্রতিষ্ঠান থেকেও নিয়মিত চাঁদা আদায় করতেন তিনি। সন্ত্রাসী কার্যক্রমসহ নানা অপরাধ সাম্রাজ্য গড়ে তুলে ট্রাকের হেলপার নূর হোসেন অবৈধপথে উপার্জন করে গডফাদার রূপে আবির্ভূত হন। এক সময়ে তার ‘সাম্রাজ্যে’ হাত বাড়ালেই মিলতো ফেনসিডিল, ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক। পতিতালয় চালানো, জুয়ার আসর বসানো, যাত্রার নামে অশ্লীল নৃত্য আয়োজনের অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। ১৫ থেকে ২০টি গাড়ি নিয়ে চলাফেরা করা নূর হোসেনের ছিল বৈধ-অবৈধ অস্ত্রের বিশাল ভান্ডার।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, চাঁদাবাজি ও কোন অপকর্ম করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।