হবিগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানি, শিক্ষক গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:২৩ পিএম, ৯ এপ্রিল,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ১১:১২ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
হবিগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানির মামলার প্রধান আসামি শিক্ষক মুমিনুল হককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গতকাল শুক্রবার (৮ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার সানারপাড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার সকালে তাকে লাখাই থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই শিক্ষক যৌন হয়রানির কথা স্বীকার করেছেন। আজ শনিবার তাকে আদালতে তোলা হবে। গত ১৬ই মার্চ লাখাই বামৈ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করেন শিক্ষক মমিনুল।
র্যাব জানায়, যৌন হয়রানির শিকার ওই ছাত্রী এসএসসি পরীক্ষার্থী। ওই ছাত্রী ৮ম শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মুমিনুল হক তাকে উত্ত্যক্ত করতেন। তার শ্লীলতাহানি ও যৌন হয়রানিরও চেষ্টা করেছেন একাধিকবার। গত ১৬ই মার্চ সকালে স্কুলের প্রাত্যহিক সমাবেশ শুরু হলে ওই ছাত্রী অসুস্থতাবোধ করায় সমাবেশে না গিয়ে স্কুল ভবনের তৃতীয় তলায় শ্রেণিকক্ষে বসেছিলেন।
এ সময় সহকারী শিক্ষক মুমিনুল হক গিয়ে অন্য শিক্ষার্থীদের বের করে দিয়ে ওই ছাত্রীকে যৌন হয়রানির চেষ্টা করেন। ওই সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন এবং আয়া গৌড়ী সেখানে গেলে মুমিনুল তড়িঘড়ি নিচে নেমে আসেন। পরবর্তীতে ওই ছাত্রীটি স্কুলের অন্য কক্ষে অবস্থান করলে আবারো গিয়ে ওই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন মুমিনুল। তখন ওই ছাত্রী চিৎকার শুরু করলে মুমিনুল তার মুখ চেপে ধরেন। তার চিৎকারে বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুল করিমসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে গেলে মুমিনুল ওই ছাত্রীকে ছেড়ে দিয়ে স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করেন। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ওই ছাত্রী আত্মহত্যারও চেষ্টা করে বলে জানায় তার পরিবার।
পরে ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবীতে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধসহ বিক্ষাভে ফেটে পড়েন। বাধ্য হয়ে ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে আসামি করে লাখাই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে মুমিনুল পলাতক ছিলেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব হবিগঞ্জ ক্যাম্পের একদল সদস্য নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে মুমিনুলকে গ্রেপ্তার করে। এ ব্যাপারে র্যাব-৯ এর হবিগঞ্জ ক্যাম্পের কমান্ডার নাহিদ হাসান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নিশ্চিত হয়ে আমরা এ অভিযান পরিচালনা করি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি যৌন হয়রানির কথা স্বীকার করেছেন। আজ তাকে আদালতে তোলা হবে।