বেলকুচিতে স্ত্রীর পরকীয়ায় খুন হয় গার্মেন্টস শ্রমিক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫৮ পিএম, ১ এপ্রিল,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০২:৫৯ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে শয়ন কক্ষে আব্দুল মোন্নাফ শেখ (৪৫) নামে এক গার্মেন্টস শ্রমিকের খুনের রহস্য উৎঘাটন করেছে পুলিশ। নিহতের স্ত্রী এবং তার পরকীয়া প্রেমিককে গ্রেপ্তারের পর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন পরকীয়া প্রেমিক আলমগীর হোসেন। সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত হলেন, বেলকুচি উপজেলার রাজাপুর পশ্চিমপাড়ার হাজী আব্দুস সাত্তারের ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৩) ও নিহত মোন্নাফ শেখের স্ত্রী কহিনুর বেগম।
বেলকুচি থানার ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, ২১ মার্চ রাতে রাজাপুর পশ্চিমপাড়ার নিজ ঘরে একা ঘুমন্ত অবস্থায় গার্মেন্টস শ্রমিক মোন্নাফ সেখকে কুপিয়ে ও মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে শাহাদৎ হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী দিয়ে থানায় মামলা করেন।
এরপর হত্যাকান্ডের রহস্য উৎঘাটনে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তকালে পুলিশ জানতে পারে নিহতের সর্ম্পকে ভাতিজা আলমগীর ও নিহতের স্ত্রী কহিনুর বেগমের সাথে পরকীয়া সর্ম্পক রয়েছে। ঘটনার কয়েকদিন আগ থেকে এ হত্যাকান্ডের পরিকল্পনা করা হয় এবং হত্যাকান্ডের রাতেই আলমগীর হোসেন কামারখন্দে তার শ্বশুরবাড়ি চলে গিয়েছিল। এরপর বুধবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে আলমগীর হোসেন ও নিহতের স্ত্রী কহিনুর বেগমকে গ্রেপ্তার এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত হাত দাঁ উদ্ধার করা হয়।
ওসি আরো বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে আলমগীরকে আদালতে হাজির করা হলে পরকীয়া সর্ম্পকের কারনে নিহতের স্ত্রী কহিনুর বেগমের সাথে যোগসাজসে গার্মেন্টস শ্রমিক মোন্নাফকে হত্যা করা হয়েছে বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় আলমগীর। এ দুজনের বাইরে অন্য কেউ এ ঘটনায় জড়িত ছিল না। সিনিয়র চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপরই দুজনকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে আদালত।
ওসি আরো বলেন, হত্যাকান্ডের পর ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহের জন্য জমি সংক্রান্ত বিরোধের কারণে হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে বাদী দাবী করেছিলেন। ওই সময় বাদী অজ্ঞাতনামা আসামী দিয়ে থানায় মামলা করলেও সন্দেহভাজন হিসাবে প্রতিবেশী ৯জনের নাম মামলায় উল্লেখ করেছিলেন। পুলিশের সুষ্ঠু তদন্তের কারনে প্রকৃত আসামীদের সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। নিরাপরাধ ব্যক্তিরা কোন প্রকার পুলিশ হয়রানী হয়নি।