ফেনীতে শিশু তরিকুল হত্যা মামলায় চাচীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:১৪ পিএম, ২৪ মার্চ,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:০৬ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
ফেনীর পরশুরাম উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়নে ভাতিজা তরিকুল ইসলাম (৩) হত্যা মামলায় চাচীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার অনাদায়ে আরো তিন মাসের সশ্রম কারাদন্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতে গতকাল বুধবার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আজ বৃহস্পতিবার রায়ের দিন ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী হাফেজ আহাম্মদ এ রায়ে তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। অপরদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট আবদুল ছাত্তার রায়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান ।
পিপি হাফেজ আহাম্মদ জানান, জেলা ও দায়রা জজ ড. জেবুন্নেছার আদালতে গতকাল বুধবার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। গত মঙ্গলবার আসামি আরজিনা আক্তারের পরীক্ষা করা হয়েছে। গত ১৪ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রিয়াউল জব্বার ও পুলিশ কনস্টেবল রঞ্জন চাকমার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব সমাপ্ত করেন আদালত। এ মামলার ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ম্যাজিস্ট্রেট, চিকিৎসক ও বাদী সহ ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। আসামি আরজিনা আক্তার ২০১৯ সালে ২৩ নভেম্বর কারাগারে রয়েছে।
আদালতের বেঞ্চ সহকারি মোঃ কামাল উদ্দিন জানান, গত ২০১৯ সালের ২১ নভেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের দক্ষিণ মোহাম্মদপুর গ্রামে বাড়ীর পাশে জমির আইল থেকে তরিকুল ইসলাম নামে তিন বছরের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই শিশু দক্ষিণ মোহাম্মদপুর গ্রামের মাওলানা আবু বকরের একমাত্র ছেলে। এ ঘটনায় পরশুরাম মডেল থানায় ওই শিশুর বাবা বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে অজ্ঞাত আসামি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরের দিন ২৩ নভেম্বর দুপুরে সন্দেহভাজন হিসেবে চাচী আরজিনা আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেফতার করে তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পরশুরাম মডেল থানার তৎকালীন ওসি (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান। একই বছরের ২৪ নভেম্বর বিকালে ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তানিয়া ইসলামের আদালতে আরজিনা আক্তার (৩৫)'কে হাজির করলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ওসি (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান ছাগলনাইয়া থানায় বদলি হলে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় এসআই রিয়াউল জব্বারকে।
২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আরজিনাকে অভিযুক্ত করে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রিয়াউল জব্বার আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন । আদালত ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর চার্জ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন। ২০২১ সালের ১২ জানুয়ারী এ মামলার প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা এ মামলায় ২৫ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।