পলাতক আসামির সঙ্গে থানায় জন্মদিন পালন, ওসি প্রত্যাহার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:২৯ পিএম, ১৭ মার্চ,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:৫৮ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত হত্যাচেষ্টা মামলার পলাতক আসামিদের সঙ্গে থানার মধ্যে কেক কেটে জন্মদিন পালনের অভিযোগে কক্সবাজারের চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণিকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান।
জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ-সংক্রান্ত ছবি প্রকাশের পর সমালোচনার ঝড় উঠলে জেলা পুলিশ তাকে প্রত্যাহার করে।
পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান জানান, চকরিয়া থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গণির জন্মদিন ছিল ২ মার্চ। ওই দিন তিনি নিজ কার্যালয়ে কেক কেটে জন্মদিন পালনের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনায় এসেছে। এতে বলা হয়েছে, হত্যাচেষ্টা মামলার পলাতক আসামিদের সঙ্গে ওসির জন্মদিন পালন, আসামিদের কেক খাইয়ে দেওয়া ও আসামিদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি দেখে সমালোচনা করছেন অনেকে। বিষয়টি নজরে আসার পর ওসিকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে নিয়ে আসা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা যায়, ছাত্রলীগের আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে ২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল রাতে অস্ত্রধারী একদল তরুণ চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য তারেকুল ইসলামকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন এবং তার মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। এ ঘটনায় তারেকুলের ছোট ভাই তানজীমুল ইসলাম বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় উপজেলা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরহান মাহমুদ ওরফে রুবেলকে প্রধান আসামি করে ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। কয়েক মাস আগে আদালতে ওই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। বর্তমানে মামলাটি আদালতে বিচারাধীন।
এ মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি আরহান মাহমুদ ওরফে রুবেল, মো. আলিফসহ ছাত্রলীগের ১৪ জন তরুণ গত ২ মার্চ কেক নিয়ে ওসির কক্ষে প্রবেশ করেন। এরপর কেক কেটে ওসির জন্মদিন পালন করা হয়। ওসিকে কেক খাইয়ে দেন আসামিরা। ওসিও তাদের নিজ হাতে কেক খাইয়ে দেন। তোলা হয় অনেক ছবি। ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার হলে বিতর্ক শুরু হয়।
তবে এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ওসির বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তার সরকারি মোবাইল ফোনটি এখন ওসি (তদন্ত) মো. জুয়েল ইসলামের হাতে রয়েছে। ওসিকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।