আবারো হুমকির অভিযোগ সুবর্ণচরের গণধর্ষণের শিকার সেই নারীর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৩ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:৪৭ এএম, ১৩ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার মধ্যম চর বাগ্যার নিজ বাড়িতে পৈশাচিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন এক নারী। বিরোধী দলকে ভোট দেওয়ায় ঘরে স্বামী-সন্তানদের বেঁধে সেই নারীকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল। ঘটনাটি তখন দেশে বিদেশে ব্যাপক সমলোচনা ও প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়। আলাদা পরিচিতি পায় নোয়াখালীর সুবর্ণচর।
আজ বৃহস্পতিবার নোয়াখালীর সুবর্নচর উপজেলার চরজুবলি ইউনিয়নের নির্বাচনে মধ্যম চরবাগ্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আবারো ভোট দিতে আসেন সেই নারী। এবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও তাকে ভোটের পরে দেখে নেয়ার হুমকি দেয় এক মেম্বার প্রার্থী এমন অভিযোগ করেছেন তিনি।
ভুক্তভোগী সেই নারী জানান, এবার চরজুবলি ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ফুটবল প্রতীকের মেম্বার পদপ্রার্থী আবদুল মালেক কন্ট্রাক্টর ভোটের আগে তার পক্ষে কাজ না করায় ভোটের পরে তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন। অনেকটা আতংক আর উৎকন্ঠা নিয়ে তিনি এসেছেন ভোট দিতে। পছন্দের প্রার্থীকে ভোটও দিয়েছেন। ভোট দেয়ার সময় তাকে কেউ কোন বাধা দেয়নি। তবে ভোটের পর পরিস্থিতি কি হবে তা নিয়ে বেশ ভয়ে কান্নাজড়িত কন্ঠে তিনি জানান এ মুহুর্তে তিনি নিরাপত্তা নিয়ে শংকিত। তবে অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করছেন আবদুল মালেক কন্টাক্টর।
তিনি জানান, আমিও বিএনপি করি সে ও (ভুক্তভোগী নারী) বিএনপি করে। তাকে আমি কেন হুমকি দিবো? সে তো আমার দলের লোক। এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আমি তাকে কোন হুমকি ধমকি দেই নি।
আবদুল মালেক কন্টাক্টর চরজুবলি ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মৃত সফর আলীর ছেলে এবং চরজুবলি ইউনিয়নের একই ওয়ার্ডের ফুটবল প্রতীকের মেম্বার পদে এবার নির্বাচন করছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও ক্রাইম) দীপক জ্যোতি খীসা জানান, এ বিষয়ে ওই মহিলাকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হবে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।