খুলনায় মস্তকবিহীন বিবস্ত্র নারী শ্রমিক হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০৮ এএম, ৩০ জানুয়ারী,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:২৮ এএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
মস্তকবিহীন উলঙ্গ লাশ উদ্ধারের দুই দিন পর আটক দুই আসামির তথ্য অনুযায়ী ছিন্ন মস্তক উদ্ধার হয়েছে খুলনার নারী পাট শ্রমিক মুসলিমা খাতুনের। তিন দিনের সম্পর্কে রিয়াজ তসলিমাকে ফুলতলার যুগনিপাশা এনে ধর্ষন করে ও হত্যা করে। হত্যার পর মৃত তসলিমার লাশের উপর ও পাশবিক নির্যাতন চালায় তারা জানিয়েছে র্যাব।
গত ২৬ জানুয়ারী বুধবার ফুলতলার যুগনিপাশা গ্রামের বিল থেকে বেসরকারি পাটকলের শ্রমিক মুসলিমা খাতুনের উলঙ্গ মস্তক বিহীন লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ক্লুলেস ওই ঘটনার পর র্যাব-৬ ছায়া তদন্তে নামে। এরই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার রাতে র্যাবের একটি টিম ফরিদপুর থেকে রিয়াজ নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে। পরে ফুলতলা থেকে গ্রেফতার করা হয় অপর আসামি সাগরকে। গ্রেফতারকৃতদের তথ্য অনুযায়ী এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনের টয়লেটের মাটির তল থেকে উদ্ধার করা হয় মস্তক ও নিহতের পোশাক।
র্যাব জানায়, মাত্র তিনদিনের সম্পর্কে রিয়াজ মুসলিমাকে ২৫ জানুয়ারী রাতে ফুলতলা থেকে ডেকে নিয় আসে। পরে রিয়াজ ও সোহেল মিলে তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করা হয় মুসলিমাকে। হত্যার পর লাশের উপরও তারা পাশবিক নির্যাতন চালায়। পরে নিজেরা বাঁচতে বটি দিয়ে মুসলিমার মাথা ছিন্ন করে মাটিতে পুতে ফেলে তারা।
র্যাব-০৬ এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোসতাক আহমেদ জানান, রিয়াজের চার বিয়ে। চতুর্থ বৌ তার ঘরে রয়েছে। তারপরও সে মুসলিমার মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে তার সাথে সম্পর্ক করে এবং পরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ ও হত্যা করে।
নিহত মুসলিমা খাতুনের পিতা মো: ইমদাদুল হকের গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলায়। জীবিকার তাগিদে তারা বর্তমানে ফুলতলা থানার পাশে ভাড়া থাকতো এবং বাবা ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাতেন। আর মুসলিমা খাতুন একটি বেসরকারি জুটমিলে শ্রমিক হিসেবে কাজ করত।
তার বোন জানান, তার বাবা অসুস্থ। ঘটনার দিন বাবাকে নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছিলেন তিনি। রাতে মুসলিমা খাতুন বাড়ি থেকে বেড়নোর পর তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
নিহতের বোন আকিমা বেগম জানান, আমার বোন খুব নিরীহ। সে আট ঘন্টা ডিউটি করে ১৬ ঘন্টা বাসায় থাকত। এরা বিভিন্ন সময়ে আমার বোনকে উত্যক্ত করত। আমি এদের বিচার চাই। যে ভাবে এরা আমার বোনকে কষ্ট দিয়ে মেরেছে এদেরও সেইভাবে মৃত্যু চাই।
গ্রেফতারকৃত রিয়াজ খন্দকার ফুলতলার যুগনিপাশা গ্রামের মোশাররফ খন্দকারের পুত্র ও মোঃ সোহেল ওরফে ইমন সরদার একই এলাকার মিলন সরদারের পুত্র।