ফরিদপুরে নবজাতকের হাড় ভাঙার ঘটনায় ৩ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৫২ এএম, ২৫ জানুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০১:৫৫ এএম, ২৪ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
ফরিদপুরে নবজাতকের হাতের হাড় ভেঙে ফেলার ঘটনায় বেসরকারি আরামবাগ হাসপাতালের মালিক ও তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
আজ শনিবার বিকেলে নবজাতকের বাবা আরিফুল আলম সজল বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলায় আরামবাগ প্রাইভেট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাসুদ আলম, কর্তব্যরত চিকিৎসক শারমীন সুলতানা জুই, চিকিৎসক প্রিন্স ও চিকিৎসক রাজিবসহ অজ্ঞাত তিন-চারজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শারমীন সুলতানা জুই ওই হাসপাতালের সাইনবোর্ড ও ভিজিটিং কার্ডে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক পরিচয় দিলেও তিনি প্রকৃতপক্ষে ওই হাসপাতালের চিকিৎসক নন। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রসূতি মুক্তা আক্তারের সিজারিয়ান অপারেশনের সময় সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করায় এবং অবহেলা করায় তার নবজাতকের ডান হাতের হাড় ভেঙে গেছে।
মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজশে ভুয়া সরকারি কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে সিজারিয়ান অপারেশন করে নবজাতকের হাড় ভেঙে দিয়েছেন। প্রতিকার চাইলে তারা উল্টো ভুক্তভোগী পরিবারকে হুমকি দিয়েছেন।
এর আগে ১৮ জানুয়ারি ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. ছিদ্দীকুর রহমানের কাছে আরিফুল আলম সজল একটি লিখিত অভিযোগও দেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ১৩ ডিসেম্বর আরামবাগ হাসপাতালে তার স্ত্রী মুক্তার সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়। এ সময় নবজাতকের হাতের হাড় ভেঙে ফেলেন চিকিৎসকরা।