তিন বন্ধু চলাফেরা একসঙ্গে, মৃত্যুও একসঙ্গে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:১৫ পিএম, ২০ জানুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০২:২৭ পিএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
নিবিড় আহমেদ ওরফে অন্তর, রবিউল ইসলাম ও আনন্দ আহমেদ ওরফে আবির তিন বন্ধু। একসঙ্গে পড়াশোনা করত তারা। ঘোরাফেরাও করত একসঙ্গে। পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী তিন বন্ধু পৃথিবী থেকে চলেও গেল একসঙ্গে।
গতকাল বুধবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার ইসলামপুর এলাকায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় তারা নিহত হয়।
এই তিন বন্ধু বিজয়নগর উপজেলার ইসলামপুর আলহাজ কাজী রফিকুল ইসলাম স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। তাদের বয়স ১৬ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। নিবিড় আহমেদ বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের বীরপাশা গ্রামের আলফাজ মিয়ার ছেলে, রবিউল ইসলাম কেনা গ্রামের নান্নু মিয়ার ছেলে ও আনন্দ আহমেদ কেনা গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে।
প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মোহাম্মদ এমরান খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘তারা ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। তিন শিক্ষার্থীর এভাবে চলে যাওয়া আমরা মেনে নিতে পারছি না।’
শিক্ষার্থীদের স্বজন ও এক শিক্ষক জানান, গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় নিবিড় আহমেদ তাঁর মায়ের কাছে বাবার মোটরসাইকেলটি চেয়েছিল। না পেয়ে উপজেলার কেনা বাজার থেকে একটি মোটরসাইকেল ভাড়া নেয় তারা। তিন বন্ধু মিলে মোটরসাইকেল নিয়ে বেড়াতে বের হয়। গন্তব্য ছিল হবিগঞ্জের মাধবপুর। কেনা বাজার থেকে চার কিলোমিটার যাওয়ার পর মাছবোঝাই পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলের সজোরে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই দুই বন্ধু মারা যায়। অপর বন্ধুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তার মৃত্যু হয়।
সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজালাল আলম বলেন, পিকআপ ভ্যান ও মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে। পিকআপ ভ্যানের চালক পালিয়ে গেছেন। ঘটনাস্থল থেকে দুজনের লাশ উদ্ধার করে গতকাল রাতে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অন্যজনের লাশ রাখা হয়েছে ঢাকা মেডিকেলের মর্গে। এ ঘটনায় মহাসড়ক আইনে থানায় মামলা হয়েছে।