দাবি পূরণ হয়নি, আন্দোলন চালিয়ে যাবে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪৪ এএম, ১৬ জানুয়ারী,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০২:৫৬ পিএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের আবাসিক ছাত্রীদের ৩ দফা দাবি পূরণ না হওয়ায় আজ শনিবার দুপুর ২টা থেকে পুনরায় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি পূরণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দেয়া ২৪ ঘণ্টার সময় শেষ হচ্ছে গতকাল সন্ধ্যা ৭টায়।
ছাত্রীদের ৩ দফা দাবি হচ্ছে-
১. বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ কমিটির পদত্যাগ।
২. ছাত্রীবান্ধব ও দায়িত্বশীল প্রাধ্যক্ষ কমিটি নিয়োগ।
৩. যাবতীয় অব্যবস্থাপনা নির্মূল করে হলের সুস্থ-স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত।
গত বৃহস্পতিবার রাতে হলটির আবাসিক এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে ফোনে আলাপকালে হলটির প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদ লিজা খারাপ ব্যবহার করেছেন এমন অভিযোগে তার ও সহকারী প্রাধ্যক্ষ রাবেয়া তোড়ার পদত্যাগ দাবি করে আন্দোলনে নামেন ছাত্রীরা। গতকাল দুপুরে ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল। বৈঠক শেষে ভিসি বৈঠকটি ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানালেও শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি মানা হয়নি জানিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যান। ওইদিন সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দাবি ৩টি মানার জন্য গতকাল সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সময় দিয়ে আন্দোলন আপাতত স্থগিত করেন তারা। গতকাল রাতে হলটির প্রাধ্যক্ষ ও সহকারী প্রাধ্যক্ষের অফিস কক্ষের দরজায় পোস্টার টানিয়ে দরজা আটকে দেন শিক্ষার্থীরা।
প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদ লিজা অসুস্থ থাকায় গতকাল থেকে তার জায়গায় সাময়িক দায়িত্ব হিসেবে প্রাধ্যক্ষ করা হয়েছে অধ্যাপক জোবেদা কনক খানকে। তবে জাফরিন আহমেদকে প্রত্যাহার বা পদচ্যুত করা হয়নি বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি। ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রাধ্যক্ষ অসুস্থ। তাই তার জায়গায় দায়িত্ব পালনের সাময়িক দায়িত্ব অধ্যাপক জোবেদা কনক খানকে দেয়া হয়েছে। কিন্তু প্রাধ্যক্ষ জাফরিনকে অব্যাহতি বা পদচ্যুত করা হয়নি। এই বিষয়টি নিয়ে ভুল সংবাদ পরিবেশিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ ছিল। তারা সন্তুষ্ট হয়ে গেছেন। হল সম্পর্কিত কিছু সমস্যায় তাদের দাবি মেনে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও কিছু শিক্ষার্থীর ইন্ধনে হলের ছাত্রীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। শাবিপ্রবি এবং এর হলগুলো অত্যন্ত সুন্দরভাবে পরিচালিত হচ্ছে দাবি করে ভিসি করেন, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তুলনা করলে শাবিপ্রবি আবাসিক পরিবেশ চমৎকার। কারো স্বার্থে একটি ছোট বিষয়টি বড় করে তোলা হচ্ছে।