দৌলতপুরে ট্রাকের চাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৩ পিএম, ১০ জানুয়ারী,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ১২:৩৬ পিএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার কুষ্টিয়া-প্রাগপুর সড়কে একটি বেপরোয়া ড্রাম ট্রাকের চাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী যুবক নিহত হয়েছেন। পরে উত্তেজিত লোকজন ট্রাকটিতে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছেন।
গতকাল রবিবার (৯ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার তারাগুনিয়া বাজারের পাশে কৈপাল নামক স্থানে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর ট্রাকের চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছেন। পুলিশ রাতেই নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিলেও ময়নাতদন্ত ছাড়াই আজ সোমবার সকালে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দৌলতপুর উপজেলার কৈপাল গ্রামের হজরত আলীর ছেলে বিদ্যুৎ (৩০) ও একই গ্রামের খেরু মণ্ডলের ছেলে রাজন (৩৫) গত রোববার রাত ৯টার দিকে মোটরসাইকেলে করে হোসেনাবাদ থেকে তারাগুনিয়া বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। তারা কুষ্টিয়া-প্রাগপুর আঞ্চলিক সড়কের কৈপাল ঈদগাঁহ সংলগ্ন স্থানে পৌঁছালে পেছন দিক থেকে বেপরোয়া গতিতে আসা একটি ড্রাম ট্রাক (কুষ্টিয়া-ট-১১-২৭৩৮) মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়।
এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী ওই দুই যুবক সড়কের ওপর ছিটকে পড়েন। এ অবস্থায় ট্রাকটি তাদের চাপা দিয়ে দ্রুত বেরিয়ে গেলে তারা দুজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। এতে মোটরসাইকেলটি দুমড়ে মুছড়ে যায়। পরে বেপরোয়া ট্রাকটি কিছুদূর এগিয়ে গেলে অল্পের জন্য যাত্রীসহ একটি পাখি ভ্যান আরেকটি বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায়।
এ ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে ঘাতক ট্রাাকটিকে আটক করে আগুন জ্বালিয়ে দেন। এ সময় ট্রাক চালক ও হেলপার উপস্থিত লোকজনের সঙ্গে কৌশলে মিশে গিয়ে একপর্যায়ে পালিয়ে যান বলে স্থানীয়দের ধারণা। আগুনে ট্রাকটি ভস্মীভূত হয়ে যায়। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা কুষ্টিয়া-প্রাগপুর সড়ক অবরোধ করে রাখেন। এতে সড়কের দুই প্রান্তে বহু গাড়ি আটকে পড়ে। পরে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষুব্ধদের শান্ত করার চেষ্টা করে। প্রায় দুই ঘণ্টা সড়কটি অবরোধের পর পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। পরে পুনরায় যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
পুলিশ নিহত বিদ্যুৎ ও রাজনের মরদেহ উদ্ধার করে রাতে থানায় নেয়। তবে ময়নাতদন্ত ছাড়াই আজ সোমবার সকালে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম জাবীদ হাসান জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। ঘটনার পরপরই ঘাতক ট্রাক চালক ও হেলপার জনরোষ এড়াতে পালিয়ে গেছেন। তাদের আটকের চেষ্টা চলছে। নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়।