সিরাজগঞ্জে মাছ ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাত, গলায় ৭০টি সেলাই
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:২৪ পিএম, ৯ জানুয়ারী,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:১৫ পিএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
সিরাজগঞ্জ শহরের এস এস রোডের বড়বাজারে মাছ কেনাকে কেন্দ্র করে ছমিদুল নামের এক মাছ ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করেছে। এ ঘটনায় অন্তত পাঁচ মাছ ব্যবসায়ী আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ছমিদুল (১৮) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত ছমিদুলের গলায় ৭০টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ছমিদুল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহতরা হলো, পৌর এলাকার সাহেদনগর বেপারীপাড়া মহল্লার টুক্কা ব্যাপারীর ছেলে ছমিদুল, ওয়াজ নবির ছেলে মিজান, মৃত হোসেন ব্যাপারীর ছেলে জাহানুর সহ আরো ২ জন।
আজ রবিবার (৯ জানুয়ারি) বেলা ১২দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ওসি (তদন্ত) সাজ্জাদুর রহমান।
তিনি জানান, শনিবার সকালে শহরের এস এস রোডের বড় বাজারে মাছ কেনাকে কেন্দ্র করে মাছ ব্যবসায়ী ও ক্রেতা রিপতি সানজিদা রিয়ার সাথে কথাকাকাটির একপর্যায়ে রিয়া ফোন করে শামিমসহ আরো ৪/৫ জনকে বাজারে ডেকে আনে। পরে মাছ ব্যবসায়ী ছমিদুলকে গলায় ছুরিকাঘাত করে শামিম হোসেন গংরা।
এ সময় মাছ ব্যবসায়ীরা রিপতি সানজিদা রিয়া ও শামিম হোসেনকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ২ জনকে আটক ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় ২ জনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন, সিরাজগঞ্জ জুয়েলর্স অক্সফোড স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল করিম জুয়েলের বড় মেয়ে ও পৌর এলাকার ধানবান্ধি মহল্লার মো. আকিব সাজ্জাদ শুভর স্ত্রী রিপতি সানজিদা রিয়া (২৪) ও শামিম হোসেন (২৭)।
সিরাজগঞ্জ বড় বাজার মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. ফয়েজ উদ্দিন বলেন, মাছ ক্রয় বিক্রয় সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ক্রেতারা কয়েকজন মাছ ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাত করে। এদের মধ্যে ছমিদুলের অবস্থা অবনতি হওয়ায় সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ক্ষত বেশী হওয়ায় তার গলায় ৭০টি সেলাই দেয়া হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক মো. রোকোনুদ্দিন জানান, মাছ বিক্রেতা কয়েক জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসে এদের মধ্যে ছমিদুল নামের একজনের গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ৭০টি সেলাই দেয়া হয়েছে। তিনি এখন আশংকামুক্ত।
এ ব্যাপারে ছমিদুলের বড় ভাই ইমরান হোসেন বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫/৭ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।