সালথায় খাদ্য বান্ধব এর চাল কালোবাজারে বিক্রি করলো আ'লীগ নেতা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০৫ পিএম, ১৬ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:০৭ এএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
ফরিদপুরের সালথায় খাদ্য বান্ধব কর্মসুচীর চাল কালোবাজারে বিক্রি করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত ত্রান ও সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আলীম মোল্লা বলে জানা গেছে। বিক্রয়কৃত ৩০ বস্তা চাল উদ্ধার করেছেন সালথা থানা পুলিশ।
গতকাল সোমবার (১৫ নভেম্বর) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ উপজেলার গৌড়দিয়া বাজারের দোকান থেকে এ চাল উদ্ধার করে। এ সময় দোকানদার পারভেজ কে আটক করে পুলিশ।
এসময় পারভেজ জানায়, উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের নকুলহাটি বাজারের খাদ্য বান্ধব ডিলার উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রান ও সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আলীম মোল্লার নিকট থেকে এই চাল ক্রয় করিয়াছি।
দোকানে উপস্থিত পারভেজের ছেলে ছাব্বির বলেন, আলীম মোল্লা প্রথমে চালের কিছু স্যাম্পুল নিয়ে আমাদের দোকানে আসে যে সে এই ধরনের চাল বিক্রি করবে। ৩৫ টাকা কেজি ৫০ কেজির ৩০ বস্তা চাল পাঠাবে বলে টাকা নিয়ে যায়। পরে রাত ৮ টার দিকে চাল পাঠায়। আমার বাবা গোডাউনে চাল রেখে দেয়। রাত ৯ টার দিকে পুলিশ এসে গোডাউন খুলতে বললে বাবা গোডাউন খুলে দেয়। পুলিশ আমার বাবাকে ধরে নিয়ে যায় ও ৩০ বস্তা চালও নিয়ে যায়।
অভিযুক্ত আঃ আলিম মোল্যা পলাতক থাকায় তার বক্তব্য জানা যায়নি। তবে তার নাতী শাকিল মোল্যা বলেন, উদ্ধারকৃত চাল আমাদের না, ওটা যারা আমাদের থেকে ক্রয় করেছে তাদের থেকে হয়তো দোকানদার ক্রয় করেছে। আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে।
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন বলেন, নকুলহাটি বাজারের ডিলার আঃ আলিম মোল্যা কিছু চাল কালোবাজারে বিক্রি করেছে, এমন অভিযোগে থানা পুলিশ গৌড়দিয়া বাজারে একটি দোকান থেকে ৩০ বস্তা চাল উদ্ধার করেছে। তদন্ত করা হচ্ছে এটা খাদ্যবান্ধব চাল কিনা। প্রমান হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসিকুজ্জামান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গৌড়দিয়া বাজারের একটি দোকান থেকে ৩০ বস্তা চাল ও (যাহার প্যাকেটের গাছে সরকারী খাদ্য সিল মারা ছিল) উদ্ধার করি। এসময় পারভেজ নামে ঐ দোকানদারকে গ্রেফতার করেছি। চাল বিতরণের ডিলার আঃ আলিম পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে তাকে প্রেফতারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। তদন্ত রিপোর্ট পেয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।