বড়পুকুরিয়ায় খনি শ্রমিক কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার ও চাকুরীতে পুণ:বহালের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৪৮ পিএম, ৪ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:৩১ পিএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক কর্মচারীদের বিরুদ্ধে খনি কর্তৃপক্ষের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও চাকুরীতে পুণ:বহালের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলা বৈগ্রাম বাজারে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের আয়োজনে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে খনি কর্তৃপক্ষের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও খনিতে সকল শ্রমিকদের কে চাকুরীতে পুন:বহালের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ রবিউল ইসলাম। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, খনির কয়লা উত্তোলনের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার স্থানীয় শ্রমিক খনির সূচনা থেকে প্রায় ২০/২২ বছর যাবৎ ৪০ থেকে ৪৫ ডিগ্রী তাপমাত্রায় ভূ-গর্ভ থেকে কয়লা উত্তোলন করছেন। আমাদের রক্ত কনিকায় কয়লা মিশে গেছে। এই শ্রমের ঘাম ঝরানো প্রতিটি ফোটায় মিশে আছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তার প্রয়াত পিতা বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলার বির্নিমানের স্বপ্ন।
গত ২৬ শে মার্চ ২০২০ বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের কারোনে সরকার ঘোষিত লকডাউনে স্বাস্থ্য বিধি মেনে নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করছিলাম। এরই মাঝে কোম্পানির উন্নয়ন ও উৎপাদন সচল রাখার লক্ষে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের পক্ষ থেকে স্বাক্ষরিত একটি পত্র ০৬/০৭/২০২০ ইং তারিখে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করি।
যাহার পরিপেক্ষিতে ১২/০৬/২০২১ ইং তারিখে শ্রমিকদের সাথে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় শ্রমিকদেরকে কাজে যোগদান করার তালবাহানা করায় চুক্তি মোতাবেক আমরা কথা বলতে গিয়ে ২৫/০৭/২০২০ ইং তারিখে শ্রমিক সহ নেতা কর্মীদের নামে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে ১৫/২৩ ধারায় ৪১ জন ও ০৮/০৩/২০২১ ইং তারিখে একই ধারায় ২৩ জনকে আসামী করে। যাহা বর্তমান মামলা দুইটি চলমান রয়েছে।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কর্র্তৃপক্ষ আমাদের সাথে প্রতারণা করে কয়লা খনিটি বন্ধ করার পায়তারা করছে। আর খনি থেকে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করছে। খনির কতিপয় দূর্নীতি পরায়ন কর্মকর্তারা। আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে এখন দুশ্চিন্তায় দিনযাপিত করছি। কোরেন্টাইনের বাহিরে এখনও প্রায় সাড়ে ৯শত শ্রমিক রয়েছে। তাদেরকে আংশিক বেতন দেওয়া হচ্ছে।
খনিতে কিছু শ্রমিকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। ১৯ মাস যাবৎ খনি কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে হয়রানি করছে। নিরুপাই হয়ে আমরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হচ্ছি। আমাদের ৩ দফা দাবি মেনে না নিলে চলতি মাসেই আমরা বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলব, তার দায়ভার খনি কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে ঘোষনা দেন।
এ সময় অন্যানদের মধ্যে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পদক মোঃ আবু সফিয়ান, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম রতন, জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি, অর্থ সম্পাদক হযরত আলী, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ মানিক সহ সংগঠনের ৫ শতাধিক খনি শ্রমিক উপস্থিত ছিলেন।