নভেম্বরে নিম্নচাপ-ঘূর্ণিঝড়, ক্রমেই কমতে পারে তাপমাত্রা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪৩ এএম, ৩ নভেম্বর,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:০৮ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
নভেম্বর মাসে বঙ্গোপসাগরে একাধিক নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে, এর একটি পরিণত হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে। এছাড়া মাসজুড়ে ক্রমান্বয়ে তাপমাত্রা কমতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদর। দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাস দিতে আবহাওয়া অধিদফতরের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি এ পূর্বাভাস দিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার আবহাওয়া অধিদফতরের ঢাকার ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রে ও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কমিটির নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অধিদফতরের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ও বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন। বিশেষজ্ঞ কমিটির চলতি মাসের পূর্বাভাস প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, নভেম্বর মাসে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। এ মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। নভেম্বর মাসে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে পারে। তবে এ মাসে গড় তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকতে পারে বলেও দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, নভেম্বর মাসে দেশের উত্তরাঞ্চল ও নদী অববাহিকায় ভোররাত থেকে সকাল পর্যন্ত হালকা বা মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এ মাসে দেশের প্রধান নদ-নদীতে স্বাভাবিক প্রবাহ বজায় থাকতে পারে। অক্টোবরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১ দশমিক ৪ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ছিল বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সদ্য শেষ হওয়া মাসের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অক্টোবর মাসে সার্বিকভাবে বাংলাদেশে স্বাভাবিকের চেয়ে ২৮ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, সিলেট ও রাজশাহী বিভাগে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হয়েছে। সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ৩-৪ এবং ১৭-২০ অক্টোবর রাজশাহী, খুলনা, বলিশাল ও রংপুর বিভাগে বিচ্ছিন্নভাবে মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হয়। এসময়ে এ মাসের দৈনিক সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ২৪৬ মিলিমিটার সৈয়দপুরে (৩ অক্টোবর) রেকর্ড করা হয়।
গত ২২ অক্টোবর দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুপ্রবাহ (বর্ষা) বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিয়েছে জানিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৪ অক্টোবর সকাল ৬টায় পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। এটি পরবর্তীতে পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ১৭ অক্টোবর ভারতের তেলেঙ্গানা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান নেয়। এরপর এটি আরও পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে। ১৮ অক্টোবর সকাল ৬টায় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ১৯ অক্টোবর বিহার এলাকায় অবস্থান নেয়। এরপর এটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে বলেও জানায় আবহাওয়া বিভাগ।