দুদকের মামলায় কুষ্টিয়ার ব্যাংক কর্মকর্তার কারাদন্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৭ পিএম, ২৯ অক্টোবর,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:০২ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ ও হিসাবপত্র বিকৃত করার অপরাধে কৃষি ব্যাংকের সাবেক এক কর্মকর্তার ১৩ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর ৩ টার দিকে কুষ্টিয়ার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আশরাফুল ইসলাম এ রায় দেন।
দন্ডপ্রাপ্ত হাফিজুর রহমান (৫৫) কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার কৈপাল গ্রামের মৃত আসগর আলীর ছেলে। তিনি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পরিদর্শক পদে কর্মরত ছিলেন।
আসামি হাফিজুর রহমানকে পেনাল কোডের ৪০৯ ধারায় অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ করার অপরাধে ও ৪৭৭ (ক) হিসাবপত্র বিকৃত করার অপরাধে এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অপরাধমূলক অসদাচরণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাকে ১৩ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ আদালতের কাছে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে বলে বিচারক তার রায়ে উল্লেখ করেছেন।
দুদক ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৩ সালের ৩ র্ফেরুয়ারি পর্যন্ত হাফিজুর রহমান কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ডাংমড়কা শাখায় কৃষি ব্যাংকের পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দায়িত্বে থাকা অবস্থায় তিনি বিভিন্ন ঋণ গ্রহীতার কাছ থেকে আই ও রশিদের মাধ্যমে আদায়কৃত টাকার মধ্যে ৯৫টি আই ও রশিদে নিজে স্বাক্ষর করে ৯ লাখ ৫১ হাজার ৬৫৪ টাকা আদায় করেন।
তৎকালীন সময়ে ওই ব্যাংকে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে টাকা হস্তান্তর না করে অবৈধভাবে নিজেই আত্মসাৎ করেন হাফিজুর রহমান।
এ অভিযোগে ২০১৬ সালে তার বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানায় মামলাটি করেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের কুষ্টিয়ার উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল গাফফার। মামলাটি দীর্ঘ সময় ধরে তদন্তের পর আদালতে ওই মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়। এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ২৮ অক্টোবর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বৃহস্পতিবার আদালত এ রায় দেন।
দুদকের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট আল মুজাহিদ হোসেন মিঠু জানান, মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় আসামি হাফিজুর রহমানকে ১৩ বছরের কারাদন্ডেদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সাজার আদেশ দেন বিচারক। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।