মেহেরপুরে নির্বাচনী সহিংসতা, পাল্টাপাল্টি হামলায় আহত- ৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:২৩ পিএম, ২৯ অক্টোবর,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০১:০৫ এএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই ইউপি সদস্য প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় একজন সদস্য প্রার্থীসহ উভয়পক্ষের ৩ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন- তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড (রামদেবপুর-মৈত্রাপুর)-এর সদস্য পদের প্রার্থী রফিকুল ইসলাম (৫৫), একই ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী মোজাম্মেল হকের কর্মী হবিবর রহমান এবং ফড়ং হোসেন।
আজ শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) সকালে ও গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে দু’দফা হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের একাধিক বারের নির্বাচিত সদস্য ও বর্তমান একই পদের প্রার্থী রফিকুল ইসলাম নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসাবে মৈত্রাপুর গ্রামে ভোটারদের কাছে ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছিলেন। ভোট চেয়ে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মৈত্রাপুর গ্রাম থেকে নিজ গ্রাম রামদেবপুরে ফিরছিলেন। রাত আনুমানিক ৯টার দিকে মৈত্রাপুর গ্রামের আব্দুস সামাদের মুদি দোকানের সামনে পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সঙ্গবদ্ধ কয়েকজন ব্যক্তি তাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করার পর ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এসময় আশেপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আহত রফিকুল ইসলাম জানান, আগামী ১১ নভেম্বর তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মৈত্রাপুর গ্রামের মোজাম্মেল হক জনসমর্থন না পেয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার কর্মী মনিরুল, মহাবুল, ফড়ং হোসেন, মহিদুল, ফরিদুলসহ গুন্ডা বাহিনী দিয়ে হামলা করেছেন। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে না আসলে তারা আমাকে হত্যা করতো।
এ দিকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোজাম্মেল হক এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, রফিকুল ইসলাম তার লোকজন নিয়ে আমার কর্মী ফড়ং হোসেনকে পিটিয়ে আহত করেন। আজ শুক্রবার সকালেও সে আমার আরেক কর্মী হবিবর রহমানকে পিটিয়ে জখম করেছেন।
গাংনী থানা সূত্র জানায় ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে খোঁজখবর নেয়া হয়েছে। তবে এখনও কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।