ঝিনাইদহে আ’লীগের দুই গ্রুপের দ্বন্দে প্রাধানমন্ত্রীর উপহার ঘরে ভাংচুর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০৩ পিএম, ২১ অক্টোবর,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:০৩ এএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার দামুকদিয়া গ্রামে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের সামাজিক দ্বন্দের জের ধরে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর ভাংচুর করা হয়েছে। দুইটি পরিবারের পাওয়া ঘরের জানালা, দরজা, ইলেক্ট্রিক ওয়ারিং ও ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে ভিটেছাড়া করা হলেও তিন মাস ধরে প্রাধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে উঠতে পারছে না পরিবার দুইটি।
পুলিশ ও গ্রামবাসি সুত্রে জানা গেছে, গত ২৬ জুলাই আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত হন উকিল মৃধা নামে এক ব্যক্তি। এ হত্যাকান্ডের পরপরই দূর্যোগ সহনীয় ঘর ও জমি আছে ঘর নেই প্রকল্পের ঘরসহ প্রায় ১০০ বাড়ি ঘর ভাঙ্গচুর ও লুটপাট করা হয়। উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক বরাদ্দকৃত এই ঘর ২টির মালিক উপজেলার দামুকদিয়া গ্রামের কাসেদ আলির ছেলে আবু কালাম ও উদ্দিন শেখের ছেলে ওহিদুল ইসলাম।
দূর্যোগ সহনীয় ঘরের মালিক আবু কালাম বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়েছিলাম কিন্তু সামাজিক কোন্দলে প্রতিপক্ষরা আমার ঘর ভেঙ্গে দিয়েছে সেই সাথে জানালা দরজা খুলে নিয়ে গেছে। আমি এখন পরিবার পরিজন নিয়ে ঘরে বসবাস করতে পারছি না।
স্থানীয়রা জানান, এলাকায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে একটি অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করে করা হয়। ক্যাম্পটি প্রত্যাহারের পরই চলে নারকীয় তান্ডব। ৩ মাস ধরে ওই এলাকায় ভীতিকর পরিবেশ চলে আসলেও আসামীদের বেশির ভাগই অধরা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মনোহরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও শৈলকুপা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নুর কাছে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
শৈলকুপা থানার বিদায়ী ওসি জাহাঙ্গির আলম জানান, উপজেলার দামুকদিয়া গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা বকুল মোল্লা ও একই গ্রামের উকিল মৃধার মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনার জের ধরেই মুলত এসব ঘরবাড়ি ভাংচুর করা হয়। তিনি বলেন, আসামীদের অনেকেই আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন নিয়েছেন।
এব্যাপারে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কানিজ ফাতেমা লিজা বলেন, খবরটি আমি সাংবাদিকদের কাছ থেকে আজই শুনলাম। শুধু প্রধানমন্ত্রীর ঘর কোন ঘরই এভাবে ভেঙ্গে দেওয়া কাম্য হতে পারে না। আমরা দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।