গফরগাঁওয়ে গুদাম থেকে ৫০ কেজি চাল বের হলেই ৪৮ কেজি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:১৬ পিএম, ১৩ অক্টোবর,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:৪৯ এএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ১০টাকা কেজি দরের চাল বিক্রির শুরুতেই নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ডিলারদের অভিযোগ প্রতি বস্তায় দুই থেকে তিন কেজি চাল কম পাচ্ছে ডিলাররা। উপজেলার রসুলপুর, বারবাড়িয়া, চরআলগী, ষশরা, রাওনা, গফরগাঁও ইউনিয়নের এলাকার ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিক্রি করা হচ্ছে কালোবাজারে।
গফরগাঁওয়ে ডিলারদের দাবী খাদ্য গুদাম থেকে চালের বস্তা ওজনে কম দেওয়ায় কার্ডধারীরাও চাল কম পাচ্ছে। তবে ধলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ডিলাররা তাদের বরাদ্ধের চাল গুদাম থেকে সঠিক মাপে বুঝে নিয়েছেন। অপর দিকে ডিলাররা জানান, দুটি খাদ্য গুদাম থেকে ৫০ কেজি ওজনের বস্তায় ৪৮-৪৭ কেজি এবং ৩০ কেজি বস্তায় ২৮-২৯ কেজি চাল দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া বস্তার মধ্যে ৫০ কেজি বা ৩০ কেজি লেখা থাকলেও প্রতি বস্তায় বাস্তবচিত্র ভিন্ন। প্রতি বস্তায় যদি চাল কম থাকে দরিদ্র মানুষের মধ্যে সঠিক ওজনে চাল কিভাবে দেব।
ডিলারদের অভিযোগ ধলা খাদ্য গুদাম ও গয়েশপুর খাদ্য থেকে চাল ওজনে কম দেওয়ায় টন প্রতি ১০০ কেজি করে চাল কম পড়ছে। এতে ডিলাররা দরিদ্র মানুষের রোষানলে পড়েছেন। গফরগাঁও উপজেলা সীমান্তবর্তী দুটি খাদ্য গুদাম ধলা বাজার ও গয়েশপুর হওয়া খাদ্য গুদামকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। এই চাল কম দেওয়ার পেছনে ওই সিন্ডিকেট জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে।
গফরগাঁও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম বলেন, দুটি খাদ্য গুদাম থেকে ৫০- ৩০ কেজি চালের বস্তা গুদাম থেকে বুঝে নেবেন ডিলার। এ বিযয়ে খোজঁ খবর নেওয়া হবে।
গফরগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বলেন, গুদাম থেকে মাপে কম দেওয়া দুঃখ জনক। খোজঁ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।