মদনে এক সড়কে ১০ সেতু অকেজো
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:২১ পিএম, ৬ অক্টোবর,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:০২ পিএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় নেত্রকোনার মদন উপজেলার বৈশ্যবাড়ি থেকে ফতেপুর দেওয়ানবাড়ি সড়কের ছোট বড় ১০টি সেতু অকেজো হয়ে পড়ে আছে। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় সড়কটি সংস্কারের অভাবে সেতুগুলোর এপ্রোচের মাটি সরে গেছে। এতে সেতুগুলো জনসাধারণের কোনো কাজে আসছে না। এ সড়ক দিয়ে অধিকাংশ লোকজন যাতায়াত বন্ধ রাখলেও কয়েকটি গ্রামের লোকজন বাধ্য হয়ে চরম দূর্ভোগের মধ্যে দিয়েই যাতায়াত করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মদন পৌরসদরের বৈশ্যবাড়ি থেকে ফতেপুর দেওয়ানবাড়ি পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়কের প্রায় ৬ কিলোমিটার কাঁচা। পৌরসভার কিছু অংশ পাকা থাকলেও সেটিও ভাঙাচোরা। ৬ কিলোমিটার কাচা সড়কে ছোট বড় ১০ টি সেতু রয়েছে। প্রায় ২ যুগের বেশী সময় ধরে সড়কটিতে উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া লাগেনি। এরি মধ্যে কয়েকটি সেতুর এপ্রোচের মাটি সরে গেছে। লোকজন যাতায়াতের জন্য সেতুগুলোতে বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করছেন।
এক সময় উপজেলার ২০/২৫ টি গ্রামের হাজারো লোকজন প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতেন। সড়কটির বেহাল অবস্থার কারণে অধিকাংশ গ্রামের লোকজন যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু মদন ইউনিয়নের ফেকনি ও মাধুপুর এই দুই গ্রামের যাতায়াতের বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় দূর্ভোগের মধ্যে দিয়েই প্রতিদিন যাতায়াত করছে শিক্ষার্থীসহ সব বয়সের লোকজন। এর সাথে তিয়শ্রী ইউনিয়নের বাগজান, বৈঠাখালী, ভবানীপুর, তিয়শ্রী গ্রামের লোকজনও এ সড়ক দিয়েই যাতায়াত করছেন। ৬ কিলোমিটার সড়ক চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়েছেন। অসংখ্য গর্ত ও সেতুর এপ্রোজে মাটি না থাকায় গাড়ি চলাচল তো দূরের কথা পায়ে হেটে চলাচলা করা দুষ্কর হয়ে পড়েছে।
ফেকনি গ্রামের কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহসহ অনেক শিক্ষার্থী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের দুটি গ্রামের লোকজনদের যাতায়াতের কোন রাস্তা নেই। নির্বাচন এলে জনপ্রতিনিধিরা রাস্তার করে দিবে আশ্বাস দিয়ে যায়। কিন্তু নির্বাচন চলে গেলে কেউ খোজঁও নেন না। ভাঙা রাস্তা ভাঙাই থেকে যায় প্রতিবছর। এই রাস্তায় ছোট বড় ১০ সেতু অকেজু হয়ে পড়ে আছে। সরকার রাস্তাটি সংস্কার করে দিত তাহলে হাজারো মানুষের যাতায়াতের সুবিধা হত।
এ ব্যাপারে তিয়শ্রী ইউপি চেয়ারম্যান ফখর উদ্দিন আহমেদ বলেন, তিয়শ্রী ইউনিয়নের অংশে ৩ টি সেতুর এপ্রোজে মাটি না থাকায় অকেজু অবস্থায় রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি সংস্কার না হওয়ার কারণে জনগণের যাতায়াত অযোগ্য হয়ে গেছে। মানুষ যাতে চলাচল করতে পারে এ ব্যাপারে আমি পদক্ষেপ নেব।
মদন সদর ইউপি চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান শেখ মানিক বলেন, আমার ইউনিয়নে ফেকনি ও মাধুপুর দুইটি গ্রাম অবহেলিত। রাস্তা আছে কিন্তু সংস্কার না করায় এই দুই গ্রামের লোকজন যাতায়াতে দূর্ভোগে আছে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ গোলাম কিবরিয়া পিয়াল জানান, মদন উপজেলায় আমি নতুন যোগদান করেছি। সেতু গুলোর বিষয়ে সরজমিন পরিদর্শন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।