সুনামগঞ্জে ২ নারীসহ ৩ জনের মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২৬ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:৪৭ পিএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
সুনামগঞ্জের দুই উপজেলায় পৃথক ঘটনায় ২ নারীসহ ৩ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। মৃতরা হলেন- জেলার ধর্মপাশা উপজেলা সদরের ঠিকাদার আলী ইউনুসের স্ত্রী শুভা আক্তার (৩৫), জগন্নাথপুর উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের শ্রীরামসী গ্রামের বৃদ্ধ আব্দুল মজিদ (৭৭) ও একই উপজেলার ইকরছই এলাকার আবু মিয়ার মেয়ে মুশের্দা বেগম (২২)।
গতকাল বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে পুলিশ পৃথক স্থান থেকে ২নারীসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার করেছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়- গতকাল বুধবার (১৫ সেপ্টেম্ভর) সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় নেত্রকোনা জেলা সদর হাসপাতালে গৃহবধু শুভা আক্তারের মৃত্যু হয়। এর আগে দুপুরে নিজ বসতবাড়ির রান্না ঘরে লাকড়ি চুলায় রান্না করার সময় ওই গৃহবধুর মৃগী রোগ দেখ দিলে চুলার ওপর পড়ে গিয়ে শাড়ীতে আগুন লেগে তার সমস্ত শরীর ঝলসে যায়।
পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর কতব্যরত চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গৃহবধু শুভা বেগমকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। কিন্তু বিকেলের দিকে ময়মনসিংহে যাওয়ার পথে ওই গৃহবধুর শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিলে তাকে দ্রুত নেত্রকোনা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করার পর সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।
অপরদিকে জগন্নাথপুর উপজেলার শ্রীরামসী গ্রামের খালের পানিতে পড়ে নিখোঁজ হয়ে যায় বৃদ্ধ আব্দুল মজিদ। অনেক খোঁজাখুজির পর সন্ধ্যায় ওই বৃদ্ধকে পানি থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষনা করে। এঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রাতেই মৃত আব্দুল মজিদের লাশ উদ্ধার করে।
এদিকে একই উপজেলার ইকরছই আবাসিক এলাকায় নিজ বসতবাড়ির ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেচানো অবস্থায় তরুনী মুর্শেদা বেগমকে ঝুলে থাকতে দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয় এলাকাবাসী। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে রাতেই ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। কিন্তু ওই তরুনী কি আত্মহত্যা করেছে নাকি তাকে কেউ হত্যা করে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে দিয়ে তা জানা যায়নি।
এব্যাপারে মৃত গৃহবধু শুভা আক্তারের স্বামী ঠিকাদার আলী ইউনুস বলেন, আমার স্ত্রী দীর্ঘদিন যাবত মৃগী রোগে ভোগছিলেন। কিন্তু সে আগুনে পুড়ে মারা যাবে তা কোনদিন ভাবিনি।
জগন্নাথপুর থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর তরুনী মুশের্দা বেগমের মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। আর গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অনুরোধের ময়না তদন্ত ছাড়াই বৃদ্ধ আব্দুল মজিদের লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।