কমলগঞ্জে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ, ধর্ষক আটক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:১৯ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:৪৮ এএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের কুরমা চা বাগানে মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত আসামী ধরম পাশীকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) অভিযোগের ১৪ ঘন্টা মাথায় ভোর রাতে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া চা বাগানে তার বোনের শশুড়বাড়ী থেকে তাকে আটক করা হয়।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১৬ সেপ্টেম্বর ভোর রাতে কমলগঞ্জ থানার এসআই মোঃ হারুন অর রশীদ চৌধুরী, এসআই মহাদেব বাছাড়, এসআই সিরাজুল ইসলাম ও এ এসআই পরিমল চন্দ্র সহ পুলিশের একটি দল হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ধরম পাশীর বোনের শ্বশুর বাড়ী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় কমলগঞ্জ থানা পুলিশকে সহযোগিতা করে তেলিয়াপাড়ায় পুলিশ ফাঁড়ি।
উল্লেখ্য, গত রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বসত ঘরে একা ছিল প্রতিবন্ধী ওই কিশোরী। এ সময় একই বাগানের ধরম পাশী (৩০) বসত ঘরে প্রবেশ করে প্রতিবন্ধী ওই কিশোরীকে সিঙ্গারা ও চকলেট দিয়ে ঘর থেকে বের করে ঘরের পিছনে ধলাই নদের পারে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় প্রতিবন্ধী কিশোরীর চিৎকার চেঁচানির শব্দে প্রতিবেশী নারীরা দৌড়ে আসলে ধর্ষক ধরম পাশী পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় প্রভাবশালীরা বিষয়টি আপোষের নামে অসুস্থ হয়ে পড়া ধর্ষিতা ওই কিশোরীর চিকিৎসা পর্যন্ত করতে দেওয়া হয়নি।
এ দিকে ঘটনার ২ দিন পর মঙ্গলবার রাতে বিষয়টি স্হানীয় সংবাদকর্মী জানার পর তাদের ফেসবুকে প্রতিবন্ধী ধর্ষণের ঘটনাটি পোস্ট করেন। এতে স্যোসাল মিডিয়ায় প্রতিবাদের ঝড় উঠলে ঘটনার ৩ দিন পর বুধবার ১৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে থানায় অভিযোগ করেন কিশোরীর ভাই কার্তিক কর্মকার।
পুলিশ অভিযোগ পেয়ে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে কিশোরীকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। কমলগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়েরের পর পুলিশ আসামীকে আটকের জন্য তৎপরতা শুরু করে।
কমলগঞ্জ থানার ধর্ষণ মামলা নং ১৬ (৯) ২১। কমলগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত সোহেল রানা বলেন, মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণের মামলায় ধরম পাশী নামে এক ব্যক্তিকে হবিগঞ্জের তেলিয়াপাড়া থেকে আটক করা হয়েছে। আটক ওই ব্যক্তিকে বৃহস্পতিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।