রামগঞ্জে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে স’মিল, দুইটিতে জরিমানা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০১ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:৪২ এএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
সরকারের সব নিয়ম-কানুন উপেক্ষা করে প্রশাসনের নাকের ডগায় রামগঞ্জ পৌর ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় যত্রতত্র ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে স’মিল (করাত কল)। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে পরিবেশ, অপর দিকে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে এসব স’মিল (করাত কল) গড়ে তুলে মালিকরা নির্ভয়ে তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, পৌর ও উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক স’মিল আছে। এ গুলোর বেশীর ভাগই লাইন্সে বিহীন।
এছাড়াও বৈধ স’ মিলের মালিকরা অনেকেই লাইসেন্স নবায়ন করছেন না। উপজেলা বন বিভাগসহ বিভিন্ন মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, বনবিভাগের ছাড়পত্র, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, ফায়ার সার্ভিস কর্তৃক ছাড়পত্রসহ স্থানীয় পৌর ও উপজেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়ন নিয়েই স’মিল করার নিয়ম থাকলেও রামগঞ্জে অনেকেই এ নিয়ম-কানুন মানছে না। এসব অবৈধ স’মিল মালিকরা অনেকে ১৮ বছর, ২০ বছর ধরে ব্যবসা চালিয়ে এলেও অদ্যাবধি লাইসেন্স নেয়ার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। অথচ সবার লাইসেন্স নিশ্চিত করা হলে সরকারের মোটা অংকের রাজস্ব আয় হতো।
উপজেলা বনবিভাগের কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, যাদের লাইসেন্স রয়েছে তারাই বৈধ ব্যবসায়ী। সম্প্রতি বেশ কয়েকজন মিল মালিক কাগজপত্রের জন্য আবেদন করেছেন। যা বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন।
এ ব্যাপারে রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাপ্তি চাকমা জানান, স’মিলের লাইসেন্স না থাকায় গতকাল মঙ্গলবার (১৪সেপ্টেম্বর) দুপুরে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের দল্টা বাজারে স’মিল মালিক আমির হোসেন ও টিউরি বাজারের স’মিলের মালিক মিঠু মিয়াকে ১০ হাজার টাকা করে দুইজনের ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অচিরেই বাকি অবৈধ স’মিল মালিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।