কর্ণফুলীতে সাম্পান মাঝিদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:২৯ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:৪২ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর বাংলাবাজার ঘাট থেকে আনোয়ারায় যাত্রী পারাপার বন্ধ করে দিয়েছেন সাম্পান মাঝিরা (ইঞ্জিনচালিত নৌকাচালক)।
আজ রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে তারা সাম্পান চালনা বন্ধ রেখেছেন।
হঠাৎ করে সাম্পান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ওই ঘাট দিয়ে পারাপার করা পোশাকশিল্পের শ্রমিক, সবজিচাষি ও বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। সাম্পান মাঝিরা জানিয়েছেন- এই নৌপথে প্রতিদিন প্রায় তিন হাজার যাত্রী পারাপার করে। তাদের অভিযোগ- চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ঘাটটি ইজারা না দিয়ে স্থানীয় কিছু লোক দিয়ে জনপ্রতি ৫ টাকা করে আদায় করছে। এটি নিয়ে সিটি মেয়রকে অভিযোগ দেওয়ার ১৫ দিন পরও কোনো ব্যবস্থা না হওয়ায় সাম্পান মাঝিরা এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন।
কর্ণফুলী নদীর বাংলাবাজার সাম্পান কল্যাণ সমিতির উপদেষ্টা সাংবাদিক আলীউর রহমান পূর্বকোণকে বলেন, ‘কর্ণফুলীতে যত ঘাট আছে, সবগুলো সিটি করপোরেশন ইজারা দেয়, মাঝিরা নেয়। মাঝিরা যাত্রীপ্রতি দুই টাকা করে সিটি করপোরেশনের জন্য রাখে। আর যে ঘাটে টোল কম সে ঘাটে একটাকা করে সিটি করপোরেশনকে দেয়। কিন্তু এই ঘাটটি সিটি করপোরেশন ইজারা না দিয়ে স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসীকে দিয়ে দিয়েছে। তারা চাঁদা তুলে কিছু সিটি করপোরেশনকে দেয়। আর কিছু ওরা নিয়ে নেয়। এটি নিয়ে গত সপ্তাহে আমরা সরাসরি মেয়রকে লিখিত অভিযোগ করেছি। মেয়র সেটা পাসও করেছেন। এর পরও এ ব্যাপারে কোনো অ্যাকশান নেওয়া হয়নি।
তিনি আরও বলেন, ‘সিটি করপোরেশন যদি ঘাট ইজারা না দেয় নিয়ম হচ্ছে করপোরেশনের একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা গিয়ে জনপ্রতি ২ টাকা করে টোল আদায় করবে। মেয়রকে চিঠি দেওয়ার আজ ১৫ দিন হয়ে গেছে। এই কর্মকর্তা, সেই কর্মকর্তা করতে করতে এখনও কিছু হয় নি। যে কারণে মাঝিরা বিরক্ত হয়ে আজকে ঘাট বন্ধ করে দিয়েছে।
এই বিষয়ে ইছানগর বাংলাবাজার ঘাট সাম্পান মালিক সমিতির সভাপতি মো. লোকমান বলেন, ‘ঘাটটি করপোরেশন ইজারা না দিয়ে বাড়তি ভাড়া আদায় করছে। এটি বন্ধ করার জন্য আমরা করপোরেশনকে চিঠি দিয়েছি। এর পরও এখানে চিঠি করপোরেশন স্থানীয় লোকাল লোক দিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে যাত্রীপ্রতি ৫ টাকা করে আদায় করতেছে। এটি বন্ধ করার জন্য আমরা মাঝিরা সবাই আন্দোলন করতেছি। ঘাটটি ইজারাও হয়নি। এখানে মনে হয় সিটি করপোরেশনের কিছু লোকও জড়িত আছে। না হলে আমরা মেয়রের কাছে চিঠি দিয়েছি। মেয়র চিঠিটা পাস করেছে।
এর পরও বহিরাগত লোকগুলো যাত্রীপ্রতি কেন ৫ টাকা করে আদায় করছে। বিষয়টি জানার জন্য এবং কি কারণে এতটাকা নিচ্ছে এটির জন্য আমরা সাম্পান মাঝিরা সবাই ধর্মঘট করেছি। এটা কোনো সমাধান না হওয়া পর্যন্ত চলমান থাকবে।