কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কে জনভোগান্তি চরমে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৪৯ পিএম, ৪ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:০১ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ সড়কপথ কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কের প্রায় চারশো মিটার দেবে গেছে। সড়কটির কিছু অংশ দেবে যাওয়ায় কুষ্টিয়ার ত্রিমোহনী থেকে ভেড়ামারা বারোমাইল পর্যন্ত সড়কের প্রায় সাত কিলোমিটার এলাকাজুড়ে প্রতিদিন তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। রাস্তার দুপাশে শত শত বাস-ট্রাক ঘণ্টার পর ঘণ্টা মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকছে রাস্তা পারাপারের অপেক্ষায়। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।
দেবে যাওয়া অংশের দুই প্রান্তের সামান্য এই চারশো মিটার সড়ক অতিক্রম করতেই তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় লেগে যাচ্ছে। জনভোগান্তির পাশাপাশি এ অংশটুকুতে মাঝেমধ্যেই ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। সড়ক বিভাগ ইট বালু ফেলে জরুরি মেরামত কাজ করলেও এতে তেমন সুফল মিলছে না। ওই অঞ্চলের ব্যস্ততম এ মহাসড়কটি যেন এখন মহাদুর্ভোগেরই নামান্তর।
কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কের দেবে যাওয়া অংশটি দেখে বোঝার উপায় নেই, এটি কোনো মহাসড়কের অংশ। দেখে মনে হবে, যেন এটি প্রত্যন্ত অঞ্চলের কোনো এক কাঁচা সড়ক। অথচ এ সড়কটিই হচ্ছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের একমাত্র যোগাযোগমাধ্যম। জাতীয় সড়কের অংশ গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়কটি প্রায় এক বছর ধরেই খানাখন্দে ভরে গিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছিলো।
এরইমধ্যে গত দিন দশেক আগে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার রানাখড়িয়া জ্যোতি ফিলিং স্টেশনের কাছ থেকে কবরস্থান পর্যন্ত প্রায় নতুন করে সড়কের আরও চারশো মিটার দেবে গেছে। বৃষ্টিতে নিচের অংশের মাটি কাদাময় হয়ে ঢেকে দিয়েছে সড়কের পিচ। সড়কের এ অংশটি দেবে যাওয়ায় কুষ্টিয়ার ত্রিমোহনী থেকে ভেড়ামারা বারোমাইল পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার সড়কের দু'ধারে প্রায় শত শত বাস-ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তা পারাপারের জন্য স্থির দাঁড়িয়ে থাকছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সড়ক বিভাগ কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রায় ২৬ মাস আগে গুরুত্বপূর্ণ এ মহাসড়কটি নির্মাণ করা হয়। সে সময় পণ্যবোঝাই ভারি যানবাহন চলাচলের মত সক্ষমতার বিষয়টি মাথায় না রেখেই সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছিলো। ফলে এখন দিনরাত ভারি যানবাহন চলাচল করায় কদিন পর পরই সড়কের বিভিন্ন অংশে খানাখন্দ তৈরি হচ্ছে। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই খানাখন্দে সড়কটির অবস্থা বেহাল হয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা জানান, যে স্থানে সড়ক দেবে গেছে তার পাশেই রানাখড়িয়া বালুর ঘাট। প্রতিদিন ভেজা বালুবোঝাই শত শত ট্রাক এ মহাসড়কে যাতায়াত করছে। সড়কটি ভারি যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে তৈরি না করায় এখন জনসাধারণকে এর খেসারত দিতে হচ্ছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ জনদুর্ভোগ লাঘবে মহাসড়কে ইট-বালু ফেলে জরুরি মেরামত করলেও এর কোনো সুফল মিলছে না।
কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিরুল ইসলাম জানান, জেলার ত্রিমোহনী থেকে ভেড়ামারা উপজেলার বারোমাইল পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার সড়কটি পুনর্র্নিমাণের জন্য সম্প্রতি দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। শিগগিরই সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু হবে। পুনর্র্নিমাণ শেষ হলে জনদুর্ভোগ লাঘব হবে।