বন্দর ‘সচিব’পরিচয়ে চাকরি দেয়ার নামে হাতিয়ে নিলেন কোটি টাকা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৪৪ এএম, ৪ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:৫১ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
সেকান্দর আলী (৫৫)। বন্দরের সচিব সেজে রিয়াজ উদ্দিন বাজারে চা দোকানী আবুল কাশেমের ছেলেকে চাকরি দেয়ার নামে ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। গত মার্চে চাকরিতে যোগদান করার কথা ছিল কাশেমের ছেলের। কিন্তু মার্চ শেষ হওয়ার পরও ছেলের চাকরি না হওয়ায় ‘সচিব’ সেকান্দর আলীকে ফোন দেন আবুল কাশেম। কিন্তু সেকান্দর আলীর সবগুলো মুঠোফোন বন্ধ। পরে সেকান্দর আলীর দুই সহযোগীর মুঠোফোনে ফোন করলে তাও বন্ধ পান কাশেম। এতে সন্দেহ হলে পুলিশের দ্বারস্থ হন আবুল কাশেম।
তার দায়ের করা মামলায় বন্দর ‘সচিব’ সেকান্দর আলীকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। একই কায়দায় ১০-১২ জনের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় কোটি টাকার মতো হাতিয়ে নেন বলে নিশ্চিত করেন কোতোয়ালী থানার ওসি মো. নেজাম উদ্দিন। গ্রেপ্তার হওয়া সেকান্দর আলী চান্দগাঁও থানাধীন মৌলভী বাজার মধ্যম মোহরা সদর আলী মুন্সির বাড়ির মৃত জাফর আহম্মদের ছেলে।
ওসি নেজাম উদ্দীন বলেন, ‘বন্দরের সচিব পরিচয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে ১৫ লাখ টাকা নেয়ায় গ্রেপ্তারকৃত সেকান্দরকে বৃহস্পতিার আদালতে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি, এ পর্যন্ত সে আরও ১০-১২ জনের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকার মতো হাতিয়ে নিয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি তার প্রতারণার ঘটনা স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, বন্দরের সচিব পরিচয় দানকারী সেকান্দর আলী (৫৫) একটি পেশাদার প্রতারক চক্রের দলনেতা। তার প্রতারণার সঙ্গী নুর মোহাম্মদ রিয়াজউদ্দিন বাজার মুরগীহাট লেনের মো. আবুল কাশেমের (৬৯) চায়ের দোকানে নিয়মিত আসা-যাওয়া করতো। ২০১৮ সালে নুর মোহাম্মদ চায়ের দোকানে সেকান্দর আলী ও অপর একজনকে নিয়ে যান।
এ সময় সেকান্দর আলীকে বন্দরের সচিব বলে দোকানকার আবুল কাশেমের সাথে পরিচয় করে দেন। সেকান্দর আলী দোকানদার কাশেমের ছেলেকে বন্দরে চাকরি দেয়ার কথা বলে ১৫ লক্ষ টাকা দাবি করে। এরপর কাশেম দুই দফায় ১৫ লাখ টাকা দেন সেকান্দর আলীকে। পরে ছেলের চাকরি না হওয়ায় প্রতারণার বিষয়টি আঁচ করতে পেরে কোতোয়ালী থানায় মামলা করেন আবুল কাশেম। গত বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সেকান্দর আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।