দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীকে মুক্ত করা হবে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ৩১ আগস্ট,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:০৭ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে ও মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন খুলনার নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সাংবাদিকদের অধিকার আদায় আন্দোলনের আপোষহীন নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন গাজীকে অন্যায় ভাবে ১০ মাস যাবৎ জেলখানায় বন্দী করে রাখা হয়েছে। সাংবাদিকদের ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের আন্দোলন থেকে শুরু করে সকল প্রকার অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন সাহসী কণ্ঠস্বর। সরকার বিরোধীমতকে সহ্য করতে নাপেরে তাকে ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় আটক করে এখন নানা অজুহাতে জামিন প্রলম্বিত করছে। দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে আপোষহীন সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীকে মুক্ত করা হবে।
বিএফইউজের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রহুল আমিন গাজীর মুক্তির দাবিতে মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন খুলনার উদ্যোগে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় খুলনা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে আইনমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান শেষে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ এ হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করাহয়, দেশের পেশাজীবী সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের একাধিকবার নির্বাচিত সভাপতি জনাব রুহুল আমিন গাজী দীর্ঘ ১০ মাস ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাগারে আটক রয়েছেন। এই আইনটি সাংবাদিকদের কন্ঠরোধ করার আইন হিসেবে দেশ-বিদেশের সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী দাবি করে আসছেন। এমনকি সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকেও বলা হয়েছে এই আইনর কোন গণমাধ্যম কর্মীকে হয়রানি করা হবেনা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য বিএফইউজের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী দীর্ঘ ১০ মাস কারাবন্দী।
এ শীর্ষ সাংবাদিক নেতা কিডনী, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ জটিল বেশকিছু রোগে ভুগছেন। দেশের সাংবাদিক সমাজের অধিকার আদায়ের সাহসী উচ্চারণ স্বাধীনতা সংগ্রামে রণাঙ্গনের বীরযোদ্ধা রুহুল আমিন গাজী আজ নিজেই অধিকার বঞ্চিত। তারমত এক শীর্ষ সাংবাদিক নেতা জামিনে মুক্তি পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। শুধুমাত্র মুক্ত গণমাধ্যমে বিশ্বাসী কলম সৈনিক এটাই তার অপরাধ। তার প্রাপ্য জামিনের অধিকার রয়েছে। তারপরেও শারীরিকভাবে অসুস্থ বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর মুক্তির জন্য আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে পেশাজীবী সাংবাদিকদের কন্ঠরোধ করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।
নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি সারাদেশের পেশাজীবী সাংবাদিকদের আবেগ অনুভূতির কথা ও অসুস্থ প্রবীণ এই সাংবাদিক নেতার স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা মানবিক ভাবে বিবেচনা করে অবিলম্বে জামিনে মুক্তির ব্যবস্থা করবেন। স্থানীয় সরকার বিভাগ খুলনার উপ-পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।
এ সময় মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন (এমইউজে) খুলনার সভাপতি মো. আনিসুজ্জামান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজেরসহ-সভাপতি মো. রাশিদুল ইসলাম, এমইউজে’রসহ-সভাপতি ও বিএফইউজের সাবেক নির্বাহী সদস্য এহতেশামুল হক শাওন, এমইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিএফইউজের নির্বাহী সদস্য এইচ এম আলাউদ্দিন, এমইউজের কোষাধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক রানা, সাংবাদিক সাইফুল্লাহ বাবু, ফটো সাংবাদিক সেলিম গাজী প্রমুখ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।