ফরিদপুরে আ'লীগের দুই পক্ষের কাছে থাকা অস্ত্র জমা দিলো পুলিশের কাছে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫১ পিএম, ৩১ আগস্ট,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:৫১ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর,
বুধবার,২০২৪
ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানা পুলিশের অস্ত্র সমর্পণের আহবানে সাড়া দিয়ে নিজ নিজ পক্ষের কাছে থাকা দেশীয় অস্ত্র জমা দিলেন গ্রামের বিবাদমান দুই পক্ষ।
গত রোববার (২৯ আগস্ট) বিকেলে এ উপলক্ষে ঘোষপুর ইউনিয়নের চন্ডিবিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল মাঠে এক বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
থানা সূ্এে জানা যায়, চন্ডিবিলা গ্রামে বিবাদমান দুটি পক্ষ রয়েছে। এক পক্ষের নেতৃত্বে আছেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য মো. চাঁন মিয়া। অপর পক্ষে নেতৃত্ব দেন বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের কোষাধ্যক্ষ এসএম ফারুক হেসেনের সমর্থক চন্ডিবিলা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য কাজী রফিউদ্দীন। মাঝে মধ্যেই দুই পক্ষের লোক নিজ গ্রাম ও আশপাশের গ্রামে গিয়ে সংঘর্ষে জড়ান।
এ অবস্থা নিরসনে পুলিশের পক্ষ থেকে নিজ নিজ পক্ষের কাছে থাকা অস্ত্রশস্ত্র স্বেচ্ছায় জমা দেওয়ার আহবান জানানো হয়। পুলিশের আহবানে সাড়া দিয়ে ওই দিন দুই পক্ষ মোট ২৮টি সড়কি, ১৭ খানা রামদা, ৩৮টি ঢাল ও একখানা চাইনিজ কুড়াল জমা দেন।
অস্ত্র সমর্পণ উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান। ওসি মোহাম্মদ নুরুল আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন এএসপি (মধুখালী সার্কেল) সুমন কর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. আসাদুজ্জামান মিন্টু, ইউপি চেয়ারম্যান এসএম ফারুক হোসেন, সাবেক চেয়ারম্যান মো. চাঁন মিয়া প্রমুখ।
চন্ডিবিলা গ্রামের বাসিন্দা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মো. জামাল হোসেন জানান, পুলিশের অস্ত্র জমা নেওয়ার উদ্যোগ ইতিবাচক। তবে উভয় গ্রুপের কাছে মজুদ থাকা অস্ত্রশস্ত্রের সামান্য অংশ জমা পড়লেও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তাঁদের হাতে রয়ে গেছে।
বোয়ালমারী থানা পুলিশের চার নম্বর বিটের (ঘোষপুর ইউনিয়ন) দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক মো. ওহিদুল ইসলাম জানান, অস্ত্রগুলো উদ্ধারের ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। থানা হেফাজতে থাকা অস্ত্রগুলোর ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এছাড়া পক্ষগুলোর হাতে থাকা বাকি অস্ত্র আগামী সাত সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্বেচ্ছায় পুলিশের কাছে জমা দেওয়ার জন্য এসপি স্যার ওই সভায় সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন।