তাহিরপুর সীমান্তে কয়লা ও মাদক পাচাঁর, ইয়াবাসহ গ্রেফতার- ২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৩৬ পিএম, ৩০ আগস্ট,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ১১:১৮ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর সীমান্তে সরকারের লক্ষলক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বিপুল পরিমান কয়লা, পাথর ও মাদক পাচাঁর করেছে চোরাকারবারী ও সোর্সরা। পাচাঁরকৃত মালামালের মধ্যে ইয়াবা, মোটর সাইকেল ও মোবাইলসহ ২মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে বিজিবি।
আজ সোমবার (৩০ আগষ্ট) বেলা ১১টায় আদালতের মাধ্যমে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়- আজ সোমবার (৩০ আগষ্ট) ভোররাত ৪টায় তাহিরপুর উপজেলার বালিয়াঘাট সীমান্তের লালঘাট, লাকমা, টেকেরঘাট ও চারাগাঁও সীমান্তের বাঁশতলা, ১১৯৬ পিলার, লালঘাট এলাকা দিয়ে সোর্স ইয়াবা কালাম, রমজান মিয়া ও শফিকুল ইসলাম ভৈররের নেতৃত্বে চোরাকারবারী মানিক মিয়া, একদিল মিয়া, এরশাদ মিয়া, কাসেম মিয়া, খোকন মিয়া, শহিদুল্লাহ, হারুন মিয়া, বাবুল মিয়া গং পৃথক ভাবে ভারত থেকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রায় ৭লক্ষ টাকা মূল্যের ৬৫ মেঃটন কয়লাসহ বিপুল পরিমান ইয়াবা, মদ ও গাঁজা পাচাঁর করে ৬টি ইঞ্জিনের নৌকা বোঝাই করে নেত্রকোনা জেলার কমলাকান্দা উপজেলা সদরের মনতলা নদীর তীরে অবস্থিত কয়লা ব্যবসায়ী আজিজ মিয়া ও সাজু মিয়ার ডিপুতে নিয়ে মজুত করেছে।
অপরদিকে গতকাল রবিবার (২৯ আগষ্ট) ভোর থেকে লাউড়গড় সীমান্তের বারেকটিলা, যাদুকাটা নদী, পুরান লাউড়, মুকশেদপুর এলাকা দিয়ে পৃথক ভাবে ভারত থেকে কয়লা, পাথর, বিড়ি, মদ, গাঁজা ও ইয়াবা পাচাঁর করে সোর্স পরিচয়ধারী ও চোরাকারবারী সিন্ডিকেড।
এখবর পেয়ে সকাল ৯টায় বিজিবির নায়েব সুবেদার ইয়াহিয়ার নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে সীমান্তের ১২০৩ এর ৪ এস সংলগ্ন লাউড়গড় এলাকা থেকে মাদক ব্যবসায়ী সঞ্জব আলী (৫০) ও রায়হান মিয়া (৩৫) কে মোটর সাইকেলসহ আটক করে। পরে তাদের শরীর তল্লাশী করে ২৩পিছ ইয়াবা ও ১টি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। তারা দুজন উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের ছড়ারপাড় গ্রামের বাসিন্দা। দুপুরে তাদেরকে থানায় হস্তান্তর করার পর সন্ধ্যায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- তাহিরপুর সীমান্তের ৬টি বিজিবি ক্যাম্পের মধ্যে লাউড়গড় ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা বিজিবি সদস্যরা চোরাচালান প্রতিরোধের জন্য জোরালো ভূমিকা পালন করছে। অন্যদিকে রহস্যজনক কারণে চাঁনপুর, টেকেরঘাট, বীরেন্দ্রনগর, বালিয়াঘাট ও চারাগাঁও ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা নিরব ভূমিকা পালন করছে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সীমান্ত চোরাকারবারী ও সোর্সরা চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করে ইতিমধ্যে কেউ হয়েছে লাখোপতি আবার কেউ কোটিপতি।
এজন্য তাদেরকে শীগ্রই গ্রেফতার করার জন্য প্রশাসনের কাছে জোরদাবী জানিয়েছে তাহিরপুর উপজেলার ৩ শুল্ক স্টেশনের বৈধ কয়লা ও পাথর ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ।
এব্যাপারে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক তসলিম এহসান সাংবাদিকদের বলেন- সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।