পুলিশ হত্যায় ছয় বছর জেল খেটে বেরিয়ে আবার খুন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:১৮ পিএম, ২৫ আগস্ট,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:৪৮ পিএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
খুন-ডাকাতিসহ অন্তত ১০টি মামলার আসামি আবু তাহের (৩৬)। ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায় ২০১৫ সালে টুরিস্ট পুলিশের কনস্টেবল পারভেজকে হত্যা করেন। তিন মাস আগে জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েই ফের বেপরোয়া হয়ে ওঠেন তাহের। সর্বশেষ গত ১৬ আগস্ট কক্সবাজার পৌরসভার ১১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুর মোহাম্মদের ছেলে যুবরাজ শাহজাহান সেজানের (২২) সঙ্গে মাদক ব্যবসা ও সেবনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কথাকাটাকাটির জেরে কক্সবাজার বৌদ্ধ বিহারের মাঠে তাকে খুন করে পালিয়ে ছিলেন আবু তাহের। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
গতকাল মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) ভোরে সাভারের তেঁতুলঝোড়া থেকে আবু তাহেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।
বিশেষ পুলিশ সুপার বলেন, গত ১৬ আগস্ট সকাল ১০টায় কক্সবাজার পৌরসভার ১১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুর মোহাম্মদের ছেলে শাহজাহান সেজান নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়। কথাকাটাকাটির জের ধরে কক্সবাজার বৌদ্ধ বিহারের মাঠে আবু তাহের ভিকটিম শাহজাহান সেজানকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে।
এ ঘটনায় নিহতের পরিবার ১৭ আগস্ট কক্সবাজার সদর থানায় মামলা করেন। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, মাদক ব্যবসা ও সেবনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে হত্যাকা-টি সংঘটিত হয়।
বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর আরও বলেন, সেজান হত্যা মামলার প্রধান আসামি আবু তাহের তিনটি হত্যা, ডাকাতি ও মাদক মামলাসহ ১০ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। ২০১৫ সালের ২৩ জুলাই ডাকাতির পর পালানোর সময় ট্যুরিস্ট পুলিশের কনস্টেবল পারভেজ হোসেনের বাধার মুখে পড়েন আবু তাহের। তখন আবু তাহের কনস্টেবল পারভেজকে ছুরিকাঘাত করে। পরে পারভেজকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
আসামি আবু তাহের তিন মাস আগে ওই খুনসহ ডাকাতি মামলায় জামিনে মুক্তি পায়। আবু তাহের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও সিআইডির এ কর্মকর্তা জানান।