শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে রাতে ফেরি চলাচল বন্ধ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৩৯ পিএম, ১৫ আগস্ট,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৫৮ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার নৌপথে দুই দিন ধরে রাতে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হচ্ছে। দিনের আলোয় শুধু জরুরি যানবাহন পারাপারের জন্য চালানো হচ্ছে কয়েকটি ছোট ফেরি।
আজ রবিবার (১৫ আগস্ট) সকাল থেকে এই নৌপথে চারটি ছোট ফেরি চলছে। শিমুলিয়া ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় আছে দুই শতাধিক যানবাহন।
ঘাট ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উত্তরাঞ্চলের বন্যার পানি পদ্মা নদী হয়ে সাগরের দিকে যাচ্ছে। এ কারণে পদ্মা নদীতে এখন তীব্র স্রোত। সম্প্রতি স্রোতের কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পদ্মা সেতুর তিনটি পিলারে চারবার ফেরির ধাক্কা লাগে।
এরপর থেকেই বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে সীমিত করা হয়েছে ফেরি চলাচল। বর্তমানে এই নৌপথে ১৮টি ফেরি থাকলেও থেমে থেমে চলছে মাত্র তিন থেকে চারটি ফেরি। এ কারণে উভয় ঘাটে বেড়েছে দুর্ভোগ। পারাপারের জন্য এসে যাত্রী ও যানবাহনের চালকদের পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহম্মেদ বলেন, পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোত। এরই মধ্যে কয়েকবার স্রোতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুতে আঘাত করছে ফেরি। সেতুর নিরাপত্তার জন্য কয়েক দিন আগে বড় ফেরি চালানো বন্ধ করে দেওয়া হয়। ছোট ফেরিগুলো চলতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছে। রাতের অন্ধকারে দুর্ঘটনা এড়াতে গত শুক্রবার রাত নয়টা থেকে ফেরি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ ছিল। গতকাল শনিবার দিনের বেলা তিনটি ছোট ফেরি দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ও রোগীবাহী গাড়ি পার করা হয়। তবে সন্ধ্যা ছয়টার পর থেকে আজ সকাল ছয়টা পর্যন্ত ফেরি বন্ধ রাখা হয়। এখন এই নৌপথে চারটি ছোট ফেরি চলছে।
শিমুলিয়া ঘাটের ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (টিআই) মো. জাকির হোসেন বলেন, বড় ফেরি চলে না। তাই এই ঘাট দিয়ে ভারী যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে না। ঘোষণার পর থেকে বড় গাড়িও আসছে না। ঘাটে পণ্যবাহী যেসব গাড়ি অপেক্ষায় ছিল, সেখান থেকে কিছু অন্য নৌপথে চলে গেছে। অধিকাংশ গাড়ি এখনো ঘাটে অপেক্ষায় আছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সব যাত্রী ও চালককে বিকল্প নৌপথে চলাচলের অনুরোধ করা হচ্ছে।