তাহিরপুরে কয়লা, পাথর, ঠেলাগাড়ি ও মদসহ আটক ১
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০৯ পিএম, ১১ আগস্ট,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:৫৪ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর সীমান্তে লক্ষলক্ষ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন ওপেন কয়লা, পাথর, মদ, গাঁজা, হেরুইন, ইয়াবা, বিড়ি ও অস্ত্র পাঁচার করছে সোর্স পরিচয়ধারীরা। কিন্তু তাদেরকে কখনোই গ্রেফতার করা হয়না।
আজ বুধবার ভোর থেকে পৃথক অভিযান চালিয়ে ভারতীয় অধৈব কয়লা, পাথর, ঠেলাগাড়ি ও মদসহ ১জনকে গ্রেফতার করেছে বিজিবি। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম- মোঃ রেজাউল মিয়া (৩৫)। সে তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের রামেশ^রপুর গ্রামের সুরত আলীর ছেলে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- প্রতিদিনের মতো আজ ভোরে তাহিরপুর উপজেলার লাউড়গড় সীমান্তের যাদুকাটা নদী, বারেকটিলা, শাহআরেফিন মোকাম ও সাহিদাবাদ এলাকা দিয়ে সোর্স আমিনুল মিয়া, জজ মিয়া, রফিক মিয়া, এরশাদ মিয়া, জসিম মিয়া ও নুরু মিয়াগং পৃথক ভাবে ভারত থেকে পাথর ও কয়লাসহ মদ, বিড়ি, ইয়াবা পাচাঁর করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে বিজিবি পৃথক অভিযান চালিয়ে সাহিদাবাদ এলাকা থেকে ভারতীয় ২০ ঘনফুট পাথরসহ ৪টি ঠেলাগাড়ি ও পর্যটনস্পট শিমুলবাগান থেকে ৯শ কেজি অবৈধ কয়লা জব্দ করে। কিন্তু সোর্সদের গ্রেফতার করতে পারেনি।
অপরদিকে চারাগাঁও ক্যাম্প কমান্ডার হাফেজ ও এফএস রিপনের সহযোগীতা সোর্স রমজান মিয়া, শফিকুল ইসলাম ভৈরব, খোকন মিয়া, শহিদুল্লাহ, জসিম, মানিক, হারুন মিয়াসহ বালিয়াঘাট ক্যাম্প কমান্ডার ওয়ালি উল্লাহর সহযোগীতায় সোর্স ইয়াবা কালাম ও জিয়াউর রহমান জিয়াগং ভারত থেকে প্রায় ১শ মেট্রিকটন চোরাই কয়লাসহ মদ, গাঁজা ও ইয়াবা পাচাঁর করে। পরে পাঁচারকৃত অবৈধ মালামাল ইঞ্জিনের নৌকা যোগে নেত্রকোনা জেলার কমলাকান্দা নিয়ে যায় চোরাচালানী খোকন মিয়া, শহিদুল্লাহ ও একদিল মিয়া। এজন্য বালিয়াঘাট ক্যাম্পের নামে ১বস্তা অবৈধ কয়লা থেকে ১০০টাকা ও চারাগাঁও ক্যাম্পের কমান্ডার ও এফএসের নামে ১ নৌকা (১০ মেঃটন কয়লা) থেকে ৬ হাজার টাকা করে চাঁদা নিয়েছে সোর্স রমজান মিয়া, শফিকুল ইসলাম ভৈরব ও সোর্স ইয়াবা কালামসহ জিয়াউর রহমান জিয়া। এছাড়াও সাংবাদিকদের নামে আব্দুর রাজ্জক প্রতি নৌকা থেকে ২হাজার ও তোতলা আজাদ ১হাজার টাকা চাঁদা নিচ্ছে। সেজন্য এই চোরাচালানের ঘটনাকে জায়েজ করতে লালঘাট গ্রামের চোরাকারবারী হারুন মিয়া বাড়ি থেকে ১৫ বস্তা কয়লা জব্দ করে বিজিবি। কিন্তু এঘটনার প্রেক্ষিতে কোন মামলা হয়নি। তবে বালিয়াঘাট সীমান্তের রামেশ্বরপুর নামকস্থান থেকে ২৩ বোতল ভারতীয় মদসহ ব্যবসায়ী রেজাউল মিয়াকে আটক করেছে বিজিবি।
অন্যদিকে টেকেরঘাট সীমান্ত এলাকা দিয়ে সোর্স ইসাক মিয়া ও কামাল মিয়া ওপেন মদ, গাঁজা ও কয়লা পাচাঁরের পর ভুরুঙ্গাছড়া নামক এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬শ কেজি ভারতীয় অবৈধ কয়লা জব্দ করে বিজিবি। কিন্তু সোর্সদেরকে গ্রেফতার না করে চাঁদার বিনিময়ে প্রতিরাতে এভাবেই নাটকীয় ভাবে মিলেমিশে জমজমাট চোরাচালান বাণিজ্য চলছে বলে জানা গেছে।
এব্যাপারে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক তসলিম এসহান সাংবাদিকদের বলেন- কয়লা, পাথর, ঠেলাগাড়ি ও মদসহ আটককৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।