ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে তীব্র যানজট
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০৪ পিএম, ১ আগস্ট,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:১৮ এএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
গার্মেন্টস ও কলকারখানা খুলে দেয়ায় কর্মস্থলে ফিরছেন শ্রমিকরা। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার রাত থেকে মহাসড়কের প্রায় ২০ কিলোমিটার অংশে থেমে থেমে পরিবহন চলাচল করছে। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে পরিবহন চালক ও যাত্রীরা।
আজ রবিবার (১ আগস্ট) দুপুর ১২টা পর্যন্ত গণপরিবহন চলাচলের নির্দেশনা থাকলেও পর্যাপ্ত গণপরিবহন না থাকায় কর্মজীবী মানুষ খোলা ট্রাক, পিকআপ, প্রাইভেটকার, সিএনজি ও মোটরসাইকেলযোগে গাদাগাদি করে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছে।
এতে একদিকে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। অন্যদিকে চরমভাবে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন এসব কর্মজীবী মানুষেরা।
তাদের অভিযোগ, গণপরিবহন না খুলে গার্মেন্টস ও শিল্পকারখানা খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত করোনা ঝুঁকি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে চাকরি বাঁচাতে এভাবেই তারা কর্মস্থলে যেতে বাধ্য হচ্ছে বলে জানিয়েছেন।
মহাসড়কে কর্তব্যরত পুলিশ জানান, সরকার কর্তৃক নতুন প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ায় মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় হাইওয়ে পুলিশ জেলা পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশ নিয়োজিত রয়েছেন। এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।
এর আগে গতকাল শনিবার পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান জানিয়েছিলেন, গার্মেন্টসসহ সকল কলকারখানার শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফেরার সুবিধার্থে রোববার (১ আগস্ট) দুপুর ১২টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে সকল ধরনের গণপরিবহন চলবে।
ওইদিন সন্ধ্যায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলন, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সব জেলা এবং শিমুলিয়া-বাংলাবাজার এবং দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে রোববার (১ আগস্ট) দুপুর ১২টা পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল করবে।
এদিকে করোনা সংক্রমণে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই আজ থেকে চালু হচ্ছে পোশাক কারখানা।