কমলগঞ্জে ১ মাস পর উদ্ধার স্ত্রীর লাশ, ঘাতক স্বামী আটক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:২৮ পিএম, ২৮ জুলাই,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ১২:২৯ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার পর নিজ বাড়ির উঠানে ৩৬ দিন লাশ পুঁতে রেখেছিল ঘাতক স্বামী।
আজ বুধবার (২৮ জুলাই) সকালে হত্যাকারী স্বামীকে জনতা আটক করে পুলিশে খবর দেয়।
খবর পেয়ে কমলগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধারের পাশাপাশি আটক স্বামীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
জানাযায়, উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের পাত্রখোলা চা বাগানের পশ্চিম লাইনের সুবাস বাউরির স্ত্রী ১ ছেলে ও ১ মেয়ে সন্তানের জননী সুচিত্রা শব্দকর দীর্ঘদিন ধরে বাগানেই বসবাস করছিলেন। স্বামীর সংসারে থেকেই সুচিত্র শব্দকর সংসারের চালানোর দায়ে চা বাগানের বাজারের পরিছন্নতাকর্মী হিসাবে কাজ করতো। দীর্ঘ ১ মাস ধরে সুচিত্রা কাজে না যাওয়ার কারন জানতে চাইলে সুবাস বাউরি বলেন, সে হারিয়ে গেছে।
এদিকে তাদের পরিবারে পারিবারিক কলহ চলছিল। পারিবারিক কলহের জেরে ধরে গত ২২ জুন স্বামী সুবাস তার স্ত্রী সুচিত্রা শব্দকরকে মেরে বাড়ী উঠানে পুঁতে রেখেছিলেন। অপরদিকে সুচিত্রার মেয়ে সীমা শব্দকর তিলকপুরস্থ গ্রামের স্বামীর বাড়ী থেকে মাধবপুরস্থ পিতার বাড়ীতে যায় বুধবার সকালে।
সীমা তার পিতার কাছে মা (সুচিত্র শব্দকর) কোথায় জানতে চাইলে বলেন, তর মাকে কুঁড়ালের হাতল দিয়ে আঘাত করে মেরে ফেলেছি। মারার পর লাশটি বাড়ির উঠানে পুঁতে রেখেছি। মেয়ে সীমা শব্দকর এই কথা শুনেই তার মা হারিয়ে যায়নি তার মাকে বাবাই মেরে ফেলেছে বলে চিৎকার চেচাঁমেছি করতে শুরু করে।
মুহুর্তের মধ্যেই ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে আজ সকালে স্থানীয়রা ঘাতক স্বামী সুবাস বাউরিকে পাত্রখোলা জামে মসজিদ এলাকা থেকে আটক করে গাছে বেঁধে রাখে। প্রাথমিক জিঞ্জাসাবাদে সুবাস স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করলে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়।
খবর পেয়ে এএসপি (কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল) সার্কেল শহীদুল হক মুন্সির নেতৃত্বে কমলগঞ্জ থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান, ওসি তদন্ত সোহেল রানাসহ পুলিশের দল দুপুর ১টায় বাড়ীর উঠানের মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ লাশের সুরতহাল রির্পোট তৈরী করে ময়না তদেন্তর জন্য মৌলভীবাজার মর্গে প্রেরণ করেছে। ঘাতক স্বামীকে কমলগঞ্জ থানায় নিয়ে আসে।
কমলগঞ্জ থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিক জিঞ্জসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। লাশের ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। মেয়ে বাদী হয়ে মামলা দায়েরের কাজ প্রক্রিয়াধিন রয়েছে।