লালমাই ইছাপুরায় ব্যবসায়ী-কর্মচারীকে খুন করেছে র্দূবৃত্তরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩৭ পিএম, ২৭ জুলাই,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:৩৮ এএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
কুমিল্লা লালমাই উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউপির ইছাপুরা গ্রামের গ্রাম্য দোকান মালিক শরিফ হোসেন (২৮) ও তার দোকানের কর্মচারী ফয়েজ আহম্মদ (২৮) কে খুন করেছে অজ্ঞাত র্দূবৃত্তরা।
গতকাল সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারনা করছেন এলাকাবাসী। দোকান মালিক শরিফ হোসেন ওই ইউপির ১নং ওয়ার্ড ইছাপুরা গ্রামের মোঃ হাছানুজ্জামানের ছেলে এবং তার দোকানের কর্মচারী ফয়েজ আহম্মদ একই গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, সোমবার রাতে প্রতিদিনের মতো বাড়ীর পাশে গ্রাম্য বাজারে নিজের মুদি দোকান বন্ধ করে শরিফ ও তার কর্মচারী ফয়েজ শরিফের বাড়ীতে চলে আসে। এসময় শরিফের মা ও বাবা পার্শ্ববর্তী জাফরপুর গ্রামে বোনের বাড়ীতে বেড়াতে যায়। পুরা বাড়ীটি ছিলো ফাঁকা। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শরিফের মা-বাবা বাড়ীতে এসে ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ পেয়ে বাড়ীর সামনে তাদের মুদি দোকানে গিয়েও দোকান বন্ধ পেয়ে পুনরায় বাড়ীতে এসে দরজার হুক খুলে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করতেই নিজ ছেলে শরিফ হোসেনের গলায় ফাঁস লাগানো এবং কর্মচারী ফয়েজের জবাই করা মরদেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার দিলে, আশে পাশের লোকজন ছুটে এসে লালমাই থানা পুলিশকে খবর দেয়।
সূত্রগুলো আরও জানায়, শরিফ হোসেন এবার কোরবানী ঈদে প্রায় ১০/১২ লাখ টাকার গরু বিক্রি করেছে। নিজেও স্থানীয় গ্রাম্য বাজারে বড় ধরনের মুদি ব্যবসায়ী। ঘরে প্রচুর টাকা ছিলো বলে অজ্ঞাত র্দূবৃত্তরা তাদের দু’জনকে খুন করতে পারে বলে ধারনা এলাকাবাসী ও স্বজনদের। খবর পেয়ে লালমাই থানা, ভুশ্চি ফাঁড়ি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং তাৎক্ষনিক সদর দক্ষিণ সার্কেল সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার বাবু প্রশান্ত কুমার পাল, লালমাই থানা ইনচার্জ মোঃ আইয়ুব ও ভুশ্চি ফাঁড়ি থানা ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলামসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। লালমাই থানা পুলিশ খুন হওয়া শরিফ ও ফয়েজের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
সূত্র গুলো আরও জানায়, এলাকার জনপ্রিয় দু’যুবক ব্যবসায়ী শরিফ হোসেন ও তাঁর কর্মচারী ফয়েজের অকাল মৃত্যুতে এলাকার শোকের ছায়া নেমে আসে। তাদের দু’জনের পিতা মাতাসহ স্বজনরা বাকরুদ্ধ। এঘটনায় কেহ কিছুই বলতে পারেনি। তবে টাকা নিতে আসা র্দূবৃত্ত কর্তৃক খুন কিংবা স্থানীয় অপরাজনীতি ও সামাজিক নানাহ বিষয় ঘিরে এ হত্যাকান্ড ঘটতে পারে বলে এলাকার জনমনে নানাহ বির্তক চলছে। অবশ্য আইন শৃঙ্খলাবাহিনী সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এ জোড়াখুনের আসল রহস্য বের করে আনবেন বলে দাবী এলাকাবাসীর।
এ ব্যাপারে লালমাই থানা পুলিশের একটি সূত্র স্থাণীয় সাংবাদিকদের এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি। তবে জোড়াখুন হওয়াদের স্বজনরা পৃথক পৃথক হত্যা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়।